রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ, সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের প্রতিরোধের আহ্বানে আজ ১২ ডিসেম্বর শনিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) দেশব্যাপী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় সমাবেশে উপরোক্ত আহ্বান জানান সিপিবি নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের সুযোগ নিয়ে সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তির আস্ফালন ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা এবং অর্থনৈতিকসহ নানা সুযোগ-সুবিধার ফলে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও, মৌলবাদের উত্থানে বর্তমান সরকার ভূমিকা পালন করে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পরও, সরকার তার মৌলবাদ-তোষণ নীতি বদলায়নি।
ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক

রুহিন হোসেন প্রিন্স। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. সাজেদুল হক রুবেল।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, ধর্মান্ধ শক্তি হুমকি আস্ফালন অব্যাহত আছে। তাদের সাথে সরকারের আপস ও তোষণনীতির কারণে এদের সাহস ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের দ্বিমুখী আচরণ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃতি চেতনাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ভাস্কর্যবিরোধিতার আড়ালে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করতে হলে বামপন্থি কমিউনিস্টদের ভাত ও ভোটের এবং গণতন্ত্রের সংগ্রামকে জোরদার করার পাশাপাশি শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে এবং একইসাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দিবস সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে পালিত হয়েছে।