Revolutionary democratic transformation towards socialism

সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভার আহ্বান আওয়ামী দুঃশাসন প্রতিরোধ কর দ্বি-দলীয় ধারার বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোল ঘাতক বাস চালকের বিচার, মন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগ দাবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র দু’দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আজ ১ আগস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রগতি সম্মেলন কক্ষে শুরু হয়েছে। পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের জুলুম-নির্যাতন, দুঃশাসন আরো বেড়েছে। কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে নিমর্মভাবে দমন করা হচ্ছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের ভয়াবহ হামলা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানে নীচুস্তরের কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধে হত্যা করা হলেও- মাদকের গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আইন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাজনীতিতে ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সড়কে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মানুষ মরছে। নারী ও শিশু ধর্ষণ-হত্যা বর্বরতায় রূপ নিয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ঘুষ-দুর্নীতি সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনিতে কয়েক শ কোটি টাকার দুর্নীতি উন্মোচিত হয়েছে। আগেকার সরকার গুলির ধারাবাহিকতায় দলীয়করণ, জবরদখল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অর্থপাচার এক ভয়ানক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সভায় আওয়ামী দুঃশাসন প্রতিরোধ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান করা হয়। পাশাপাশি দ্বি-দলীয় ধারার বিরুদ্ধে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির বিকল্প গড়ে তোলার সংগ্রামকেও এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। সভায় বাস চাপা দিয়ে দুইজন ছাত্র হত্যাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা হাজার হাজার স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর উপর পুলিশী নির্মম নিপীড়নের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা থেকে ঘাতক চালকের বিচার এবং অসংবেদনশীল আচরণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগসহ ছাত্র সমাজের ৯-দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সরকার দলের ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটারদের শক্তি প্রয়োগে ভোট প্রদানে বিরত রাখার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত খুলনা, গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করা হয়। বরিশালসহ সদ্য সমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশনে পুনঃনির্বাচন দাবি করা হয়। সভায় বড়পুকুরিয়ায় শত শত কোটি টাকার কয়লা চুরির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে চুরির সাথে সংযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সভায় আশু ৫-দফা দাবি সামনে রেখে আটটি বাম দল নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠনে সন্তোষ প্রকাশ করে ও জোটকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম এম আকাশ, আলতাফ হোসাইন, মৃণাল চৌধুরী, ডা. দিবালোক সিংহ, অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত, অ্যাড. এ কে আজাদ, ডা. ফজলুর রহমান, ডা. মনোজ দাশ, আনোয়ার হোসেন সুমন, কাজী রুহুল আমীন, মো. কিবরিয়া প্রমুখ।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..