বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ ১৫ মার্চ ২০১৮ সকাল ১১টায় মিরপুর-১২ এর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোল্লা বস্তি পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যার কথা শুনেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর প্রতি সমবেদনা জানান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ দেখেন, এখনও কিছু জায়গায় আগুনের ধূয়া উড়ছে। কিছু বস্তিবাসী তাদের ঘরের ছাইয়ের মধ্যে

পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র খুঁজছেন। অনেককেই দেখা গেছে পোড়া ঘরের ভিতরেই পলিথিন টাঙ্গিয়ে রাত্রি যাপন করছে নারী-শিশুসহ খোলা আকাশের নিচে। কেউ কেউ জানালো এ পর্যন্ত কেউ তাদের পুনর্বাসনের কোন উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় সংসদ দু’বেলা খাবারের আয়োজন করছেন জানিয়ে তারা বলেন, সেখানেও শৃঙ্খলা নেই। অনেকে দু-তিনবার খাবার নিচ্ছে আবার কেউ পাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাদের প্রত্যাশা সরকার যদি তাদের জন্য মাথাগোজার ব্যবস্থা অর্থাৎ ঘর তৈরির জন্য সহায়তা করতো তাহলে সব হারানো লোকগুলো কোনরকমে বেঁচে থাকতে পারতো।
সিপিবি-বাসদ-বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত

বস্তিবাসী মানুষের মাথাগোজার জন্য ঘর তৈরি করে দেয়ার দাবি জানান এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত মাধ্যমে উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।
সিপিবি-বাসদ-বাম মোর্চার পরিদর্শন টিমে ছিলেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফী রতন, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংগতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাসদ (মার্কবাদী)র নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা মোখলেসুর রহমান ও সাজেদুর রহমান রুবেল, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, রিয়াজ, ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, সৈতক আমিন, সুমন, রাসেল প্রমুখ।