ঢাকা সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সিপিবি'র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সংঘাত সংঘর্ষ অস্থিতিশীলতা ঢাকা বাসীর জীবনকে দূর্বিসহ, অসহনীয় নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ মতো এমনিতেই ঢাকা বাসীর উপর গ্যাসের দাম, বিদ্যুৎ বাড়ীভাড়া বেড়েই চলছে, যানজট ঢাকাকে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। যখন এসব সমস্যা সমাধান করা জরুরী তখন না করে উপরন্ত রাজনৈতিক সংঘাত সংঘর্ষ অস্থিতিশীলতা জনজীবনের সংকটকেই আড়াল করছে। এ সহিংস সংঘাত পরিস্থিতি সুযোগ করে দিচ্ছে জামাত শিবিরসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি ও ষড়যন্ত্রের অন্ধকারের শক্তিকে। দেশপ্রেমিক মানুষ এ অবস্থা মেনে নিতে পারে না।
আজ ২৩ জানুয়ারি শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি ঢাকা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা সমাবেশ বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে ঢাকা কমিটির সভাপতি আশরাফ হোসেন আশুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল, মাকসুদা আক্তার লাইলি, জাহিদ হোসেন খান, আবিদ হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, কে এম মিন্টু, বিধান বিশ্বাস সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, পুলিশের গুলিতে, ক্রসফায়ারে- পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে সংঘর্ষ ও রেলে নাশকতায় মারা গিয়েছে প্রায় ৩০জন। নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। এদের
ঢাকা সমাবেশের মিছিলে নেতৃবৃন্দ মধ্যে নারী শিশুও রয়েছেন। রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিএনপি জামায়াত তার দায় এড়াতে পারে না। অন্যদিকে সরকার পুলিশ-বিজিবি দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা করছে। এহেন পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত করছে। যা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য সহায়ক নয়।
সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, দুই জোটের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। জনগণের উপর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, বাড়ীভাড়া বেড়েই চলছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যেগ নেই। জনগণের সমস্যার ইস্যুকে আড়াল করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে সাধারাণ মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবেনা, উল্টো জনগণ রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়বে। দ্রুত স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বক্তারা বলেন, দেশবাসী এই অনিশ্চিয়তা সংঘাত সহিংসতার অবসান চায়। বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বিকল্প রাজনীতি শক্তির সমাবেশ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
দুপুর থেকে ফেস্টুন, লাল পতাকা নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রতিবাদী মানুষ প্রেসক্লাবে জমায়েত হতে থাকে। প্রেসক্লাবে প্রতিবাদী বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বার্তা প্রেরক
সিপিবি ঢাকা কমিটি