Revolutionary democratic transformation towards socialism

পুঁজিবাদী লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে -সিপিবি

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংহতি দিবসে শহীদ মতিউর ও কাদেরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদ বিশ্ব মানবতার শত্রু। পৃথিবীর দেশে দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন এবং নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নিজেদের আধিপত্য রক্ষাই তাদের অন্যতম কাজ। সাম্প্রতিক সময় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় তারা ভূমিকা গ্রহণ করলেও প্রকারান্তরে নিজস্ব স্বার্থ রক্ষাটাই তাদের কাছে প্রধান।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে স্বৈরাচারী শাসকদের আমরা হটিয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পুঁজিবাদী লুটপাট তন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে হটাতে পারেনি। এসব অপশক্তিকে হটিয়েই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এসব অপশক্তিকে পরাজিত করার মধ্য দিয়েই দেশকে সব মানুষের বসবাসযোগ্য দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

তিনি দেশের সচেতন মানুষকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংহতি দিবসে আজ ১ জানুয়ারি ২০২৫ সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের নিকটে স্থাপিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্মৃতিস্তম্ভে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স এ বক্তব্য রাখেন।

পুস্পস্তবক অর্পণের সময় সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, সাজেদুল হক রুবেল, কাজী রুহুল আমিন, লুনা নূর, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ডাকসু আয়োজিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলিতে মতিউল ইসলাম এবং মির্জা কাদের শহীদের মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন বামপন্থী দল সংগঠনসমূহ ১ জানুয়ারি সাম্রাজ্যবাদ সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে আসছে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..