Revolutionary democratic transformation towards socialism

শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম এর অবদান অনুকরণীয় হয়ে থাকবে


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জননেতা কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ১৭ আগস্ট বিকালে সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

শ্রদ্ধা নিবেদন করে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন শেষ করেই শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হন এবং শ্রমিকদের লড়াইয়ের প্রিয় নেতায় পরিণত হন। কমরেড সেলিম আজীবন সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম করে গেছেন।  

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারি সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, শাহীন রহমান, পরেশ কর, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, সদস্য

অধ্যাপক এম এম আকাশ, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমান শামীম, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত দে প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি শ্রমিক আন্দোলনের পর ক্ষেতমজুর আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে কমরেড সেলিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি আমাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হলেও মানুষের আশা আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি। নেতৃবৃন্দ ধনী-গরিবের বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার অব্যাহত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..