আগামীকাল
১ জানুয়ারি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি দিবসে সিপিবি, প্রগতিশীল গণসংগঠনসমূহ
নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রতিবারের মতো এবারো ১ জানুয়ারি
২০২৫, বুধবার সকাল ৮.৩০টায় মতিউল-কাদের চত্বরের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি
স্মারকে (জাতীয় প্রেসক্লাব মোড়ে) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র
পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া প্রগতিশীল গণসংগঠনসমূহ ও বিভিন্ন
বামপন্থী দলের পক্ষ থেকেও শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য,
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত ভিয়েতনামের জনগণের সাথে সংহতি
প্রকাশের জন্য ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি মিছিল বের করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
মিছিলটি তৎকালীন মার্কিন তথ্য কেন্দ্রের সামনে আসলে বিনা উস্কানিতে পুলিশ
আকস্মিকভাবে গুলি চালায়। স্বাধীন দেশের মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়।
পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা মির্জা কাদেরুল ইসলাম ও মতিউল ইসলাম। আহত
হন অসংখ্য ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মী। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ছাত্র হত্যার
প্রতিবাদে পরদিন ফুঁসে ওঠে সারাদেশ। বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী
ঢাকা। ওইদিন ঢাকার সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করা হয়। তারপর থেকেই
পহেলা জানুয়ারি হয়ে ওঠে এদেশের মানুষের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের
সংহতি দিবস।
সিপিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক
রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে বলেন, যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, ভিয়েতনামে তার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংহতি
জানাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন মীর্জা কাদের ও মতিউল ইসলাম।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে
বলেন, মার্কিনীদের সাম্রাজ্যবাদী থাবা সারা পৃথিবীর শান্তিকে ব্যহত করছে।
আজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নগ্ন হস্তক্ষেপ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা পৃথিবীতে
নতুন অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। মার্কিনীরা সমরাস্ত্র বিক্রি’র জন্য সারা
পৃথিবীতে যুদ্ধ বিগ্রহ লাগিয়ে রেখেছে। তাদের স্বার্থের পক্ষে দেশে দেশে
তাদের দোসর লুটেরা শ্রেণিকে মদদ দিয়ে শোষণের রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছে।
ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দেশীয় অনুচরদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে
তোলে মানবমুক্তিকে অগ্রসর করে নিতে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।