
আজ ২০ অক্টোবর ২০২২ পুরানা পল্টন মৈত্রী মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড বারীণ দত্তের ২৯তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কমরেড শামছুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে কমরেড মিহির ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, পার্টির উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সাবেক সভাপতি কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।
কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অগ্নিযুগের বিল্পবী কমরেড বারীণ দত্ত তার জীবনের শেষ পর্যন্ত এ দেশের শ্রমিক মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। কমরড বারীণ দত্ত এবং তাদের সময়ের রাজনীতিবিদরা জীবনকে নিয়োগ করেছিলেন কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, নানকার বিদ্রোহ এবং মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পেরেছি। আমাদের তরুণ সমাজকে তাদের আদর্শকে ধারণ করে লড়াই সংগ্রামকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান, আজকের সময় এসে শাসকশ্রেণি তাদের অবদান জনগণকে জানতে দেয়া হয় না। মেহনতি মানুষের লড়াই সংগ্রাম যতদিন
চলবে ততদিন কমরেড বারীণ দত্তের অবদান গুরুত্বের সাথে স্মরণ করা হবে।
কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বারীণ দত্তের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-সিপিবি গেরিলা বাহিনী গঠনের পিছনে তার উদ্যোগ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানকার বিদ্রোহ সংগঠন, চা বাগান আন্দোলন ইত্যাদিতে তার অবস্থান আমাদের জন্য অনুসরণীয়। কিভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে হবে এবং তা কতটা জরুরি কমরেড বারীণ দত্তের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি। বিলোপবাদের বিরুদ্ধে পার্টিকে রক্ষার আন্দোলনে কমরেড বারীণ দত্ত শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছিলেন।
কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষক আন্দোলনকে সংগঠিত করার কাজে বারীণ দত্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন সে পথ ধরেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যে অঙ্গীকার এবং সততা নিয়ে তারা রাজনীতি করেছেন সেটা আমাদের অনুসরণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম বলেন, আমৃত্যু একজন কমিউনিস্ট হিসেবে কমরেড বারীণ দত্ত লড়াই করে গেছেন অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে। সেই পার্টির তরুণ নেতৃত্বকে পার্টির নেতৃত্বে নিয়ে এসেছিলেন সেটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।