বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার বিকেল ৪.৩০মি. এ পুরানা পল্টন মোড়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মোহাম্মদ শাহ্ আলমের সভাপত্বিতে এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ এর সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামীম ইমাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা আমেনা বেগম।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়া অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। সরকার দাম না কমিয়ে উল্টো
বাড়িয়ে দেওয়ার দরুণ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতি। ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় হলেও সারাদেশে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনগণ। জ্বালানি খাতের দুর্নীতি ও ভুলনীতির সাথে জড়িতদের একদিন শাস্তির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, এই সরকার লুটেরাদের এবং ব্যবসায়ীদের পাহারাদার। তিনি আরো বলেন জনগণের স্বার্থের বিপরীতে কোনো সরকার ক্ষমতায় বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি, এই সরকারও পারবে না। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী ও দায়িত্বহীন আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এর প্রভাব ইতিমধ্যে কৃষি, শিল্প, সেবাখাতসহ দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে। সরকার যে অর্থনীতিতে দেশ পরিচালনা করছে তা গণবিরোধী। তিনি লুটেরা অর্থনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতির বিকল্প গড়ে তোলার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান।