Revolutionary democratic transformation towards socialism

কমিউনিস্টরা জাতীয় ও শ্রেণি কর্তব্য সম্পাদন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবে


আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র উদ্যোগে রাজধানীতে ‘আলোর মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুরানা পল্টনের মুক্তিভবন থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন-এ গিয়ে শেষ হয়। 

আলোর মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদদের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। দেশে এখন পাকিস্তানী ভাবাদর্শ, অর্থনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ধনবৈষম্য ও শ্রেণি বৈষম্য প্রতীয়মান। দেশে ২২ পরিবারের জায়গায় ৯৪ হাজারের বেশি কোটিপতি সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা-জাতীয়তাবাদ-সমাজতন্ত্রের অঙ্গীকার থেকে দূরে সরে গেছে শাসকগোষ্ঠী।
  
নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, সমাজতন্ত্র নির্বাসিত। অন্যদিকে রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে জেকে বসেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে যোগসাজশে শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যসূচি সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, কমিউনিস্টরা জাতীয় কর্তব্য ও শ্রেণির কর্তব্য সম্পাদন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবে।  

বক্তারা দেশের বাম-প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৭১’র চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করার আহ্বান জানান।

সিপিবি’র ‘আলোর মিছিল’টি মুক্তিভবন থেকে শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন-এ গিয়ে শেষ হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড অধ্যাপক এম এম আকাশ। 

‘আলোর মিছিলে’ সিপিবি’র সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..