গ্যাসের দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ প্রসঙ্গে আজ ২৫ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “গ্যাস বিক্রি করে কোম্পানিগুলো লাভে আছে। এসব কোম্পানি দুর্নীতি, অনিয়ম,অপচয়,দূর করেনি। ভুলনীতিতে চলছে। দেশের গ্যাসের যতটুকু উত্তোলন সম্ভব ততটুকু উত্তোলন করা হচ্ছে না। স্থল ও সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধান করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেই। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে গ্যাসের দাম কমিয়ে আনা যেত। এটি না করে দেশকে এলএনজি আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে। বেশি দামে গ্যাস কেনার কথা বলে সাধারণ মানুষকে ভর্তুকির কথা শোনানো হচ্ছে (এই টাকা দেওয়া হচ্ছে, আপনার, আমার দেওয়া ট্যাক্সের টাকা থেকে)। আর এই ভর্তুকি টাকা(!) আবারো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তুলতে অহেতুক দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সরকারের এই ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গ্যাসের দাম বাড়লে মাসের খরচ বাড়বে, বিদ্যুৎ এর দাম বাড়াবে। উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়বে, পরিবহন ব্যয় বাড়বে। করোনাকালে আয় কমে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ এমনিতেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে অতিষ্ট। এরপর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পেলে সাধারণ জনগণ আরো বিপাকে পড়বে। এসব বিবেচনায় আমরা ‘গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অযৌক্তিক আবেদন’ নিয়ে গণশুনানি বন্ধের দাবি করেছিলাম। বাংলাদেশের এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আমাদের কথা না শুনে গণশুনানি অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে সরকার এ বিইআরসি’র বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা না থাকলেও দাম বাড়াবে (অনেক বেশি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে, ঐ প্রস্তাব থেকে কমিয়ে দাম বাড়াবে বলে ধারণা করা যায়)। দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা বন্ধের জন্য আমরা পুনরায় দাবি জানাচ্ছি এবং সুবিধামত সময়ে দাম কমানোর লক্ষ্যে ও গ্যাসের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গণশুনানি আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে এসব দাবি মানতে বাধ্য করতে সোচ্চার হতে এবং নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে আগামী ২৮ মার্চ দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।