Revolutionary democratic transformation towards socialism

করোনা মোকাবেলায় নন মেডিকেল লকডাউন নয়, মেডিকেল লকডাউন অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে



বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে আজ ২৫ এপ্রিল ২০২১ সকাল সাড়ে এগারটায় ‘করোনা মহামারী ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ এর সভাপতিত্বে জুম অনলাইনে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও ডক্টরস প্লাটফরম ফর পিপলস হেলথ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুব, বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহম্মেদ, বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ডক্টর স্বাধীন মালিক, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম, প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরামের সংগঠক, বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী।

আলোচনা সভায় বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুদ্দিন পাপ্পু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ।

প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অপরিকল্পিত লকডাউন কাজে আসবে না। তিনি এটাকে নন মেডিকেল লকডাউন হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল স্বাভাবিক রেখে লকডাউন দেয়ার কথা বলেন অর্থাৎ নন মেডিকেল লকডাউনকে মেডিকেল লকডাউনে রূপান্তরের আহ্বান জানান। তিনি লকডাউনে মুভমেন্ট পাশের নামে হয়রানী বন্ধের দাবি জানান।

প্রফেসর রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, আমরা লকডাউন দিচ্ছি কিন্তু জীবিকার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি না, ফলে এটা কার্যকর হচ্ছে না। তিনি শহর এবং গ্রামের দারিদ্রের প্যাটার্ন এক না উল্লেখ করে বলেন, গ্রামের চেয়ে নগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুব খারাপ। তিনি বলেন, আমরা জীবন বাঁচাতে চাই অবশ্যই জীবিকা বাদ দিয়ে নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে লকডাউনে জনগণের জীবিকার ব্যবস্থা সরকার করেছে। আমাদের দেশে সরকার এ দায়িত্ব নিচ্ছে না। তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আমাদের গবেষণা বাড়ানোর দরকার। সেরাম টিকা দিচ্ছে না, এটা বিশ্বরাজনীতির অংশ, আমাদের বিকল্প আগে থেকেই ভাবা দরকার ছিল।

অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মানে শুধু চিকিৎসা না, এর সাথে সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতি যুক্ত। করোনা সংক্রমণ মোবেলায় লকডাউন একমাত্র উপায় নয়, ম্যাজিক বুলেট না। এটি অনেক বিষয়ের মধ্যে একটি মাত্র। করোনা মোকাবেলায় যেমন রোগের প্রবাহ কমাতে হবে, প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে তেমনি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। দরিদ্র মানুষের খাবার, নগদ অর্থ বা ওষধ না দিয়ে আমাদের দেশে লকডাউন কার্যকর করা অসম্ভব।

অধ্যাপক বেনজীর আহম্মেদ বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের অদূরদর্শিতার জন্য বৈষম্য বাড়ছে, দারিদ্র, চরম দারিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ধনি দেশে সংক্রমণ হয়েছে, তারা দ্রুত সামাল দিয়েছে, এক্ষেত্রে টিকা একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। টিকার কারণে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি কমেছে। টিকা নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে, টিকা জাতীয়তাবাদ তৈরি করেছে। ধনী দেশগুলো প্রয়োজনের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি টিকা ব্লক করে রেখেছে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে স্বাস্থ্যে সমন্বয়হীনতা কাজ করছে। এটা বহাল থাকলে উন্নয়নেও আমরা পিছিয়ে যাবো। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা কি তা দিয়ে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার চিত্রও ফুটে ওঠে।

তিনি বলেন, সময় পেয়েও আমরা প্রস্তুতি নেইনি, গত বছর মার্চে পদক্ষেপ নিলে করোনা দেশে ঢুকতে পারতো কিনা সন্দেহ। করোনা মোকাবেলা করেছে কিউবা, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমরা পারছি না কেন? ইতালি, ইউকে থেকে জীবানুবাহী রোগী ঢুকতে না দিলেই হতো। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি স্বাস্থ্যে না থেকে কখনো পুলিশ, কখনো আমলা নির্ভর করে করতে চেয়েছে ফলে কাংখিত ফল আসছে না, তাদের তো অভিজ্ঞতা নাই।

স্বাস্থ্যের দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, পদের বদল হয়েছে, দায়িদের শাস্তি না হওয়ায় স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়নি। প্রতিরোধ, প্রিভেন্টিভও হয়নি।

ডাক্তার লেনিন চৌধুরী বলেন, করোনার ১ম ঢেউ প্রলম্বিত হয়েছে। ২য় ঢেউ ভয়ংকর রুপে এসেছে। আমাদের প্রধান দুর্বলতা দৃষ্টিভঙ্গির ও সামগ্রীক পরিকল্পনার। ক্যাটাগরি করে অধিক, মাঝারী, কম, শুন্য সংক্রমণ এলাকা নির্ধারণ করে ব্যবস্থা না নিয়ে সারাদেশে ঢালাও লকডাউন অপরিকল্পনার পরিচায়ক। যেখানে ৩ মাসে ১ জনও রোগী নাই, সেখানে লকডাউন কেন?

তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যের কর্তাব্যক্তিদের নজর শুধু কেনা কাটায়, প্রকল্প গ্রহণে, সর্বজনের স্বাস্থ্য জনগণকে সম্পৃক্ত করার দিকে তাদের আগ্রহ নাই। দুর্ভাগ্য যে, এমনিতেই স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কম, তারপরও যা বরাদ্দ হয় তা খরচ করতে পারে না অদক্ষতার জন্য।

তিনি বলেন, আমলা দিয়ে হবে না, জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করেই আমাদেরকে করোনা মোকাবেলা করতে হবে।

অধ্যাপক কাজী রকিবুল ইসলাম বলেন, করোনা মোকাবেলা বিচ্ছিন্নভাবে সম্ভব নয়। সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বাজেটে স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং স্বচ্ছভাবে জবাবদিহিতার আওতায় খরচ করতে হবে।

ডাক্তার মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, আমাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এন্ডিবডি ও এন্টিজেন ব্যবহারের অনুমতি সরকার দিল না। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে। এখন বিদেশী কীট দিয়ে এন্টিজেন টেস্ট করার অনুমতি দিলেও খুবই সীমিত আকারে টেস্ট হচ্ছে। তিনি ব্যাপক আকারে এন্ডিবডি ও এন্টিজেন টেস্ট করার দাবি জানান।

মনীষা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালের সংকট রয়েছে। আমরা বরিশালে ডাক্তার, নার্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার কনসেন্ট্রটরসহ প্রয়োজনীয় আয়োজন করে আইসোলেশন সেন্টার করতে চেয়েছিলাম, সরকার প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। বন্ধ স্কুল, এমনকি ১টি বন্ধ ক্লিনিকে সেটা করতে চেয়েও অনুমতি পাইনি। সরকার সবকিছুর মতো করোনা মহামারীতেও দলীয়করণ নীতি নিয়ে চলছে অন্য কাউকে রাজনৈতিক স্পেস দিচ্ছে না।

ডক্টর স্বাধীন মালিক বলেন, সরকার ঘোষণা করার পরও ফ্রন্ট ফাইটারদের ঝুঁকি ভাতা, প্রণোদনা দেয়নি, এটা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের চিকিৎসা ব্যয় এমন যে, গোটা পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা খরচ নির্দিষ্ট করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, করোনা মোকাবেলায় পুঁজিবাদ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এন্টি করোনা আর এন্টি ক্যাপিটালিজম এর মুভমেন্ট একসাথে করতে হবে। সন্মুখ যোদ্ধাসহ যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের ব্যবস্থার শহীদ বলে উল্লেখ করে তিনি এই ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সেবা কর্মী, সুইপার, পুলিশ, সাংবাদিক, গৃহকর্মী, পরিবহন কর্মীসহ সকল সন্মুখ যোদ্ধাদের ঝুঁকি ভাতা ও প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান।

কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, করোনা সম্পর্কে আগে কারো ধারণা ছিল না, এখনও সম্পূর্ণ ধারণা নাই। তবে এ সংকট মোবাবেলায় কি উপায় ছিল, কি আছে, কি করতে হবে, সে সম্পর্কে সরকারের স্বাচ্ছ ধারণা বা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির ঘাটতি ছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল মুনাফা, মানুষ না। শ্রমজীবীদের কথা না ভেবে সরকার মালিকদের তুষ্ট করতে ব্যস্ত ছিল। মনযোগে ঘাটতি ছিল, বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে করোনা মোকাবেলা করার উদ্যোগ নেয়নি।

তিনি বলেন, সংক্রমণ বিবেচনায় নিয়ে ক্যাটাগরি করে লকডাউন না দিয়ে ঢালাও লকডাউন কার্যকর হয়নি বরং জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। আমাদের সরকার ৪৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের বাহবা নেয় অথচ ১৫ দিন দরিদ্র মানুষের জন্য খাবার ব্যবস্থা করতে পারে না। আট আনা, ১ টাকা দামের মাস্ক দিতে পারে না।

তিনি বলেন, ইউকে, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টের পর এখন শুনা যাচ্ছে ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে ট্রিপল মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট যেটাকে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট বলা হচ্ছে সেটা নাকি ভয়ংকর আকমণাত্মক ও তীব্র সংক্রমণশীল। এটা ঠেকানোর উপায় কী? তিনি বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে এখনই ভারতের সাথে সকল স্থল-সীমান্ত ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি জানান।

কমরেড সাইফুল হক বলেন, ভারতে অক্সিজেনের অভাবে রোগীরা হাসপাতাল ছাড়ছে, শ্মশানে মরদেহ পুড়তে ভীড় লেগে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, গত ১৩ মাসেও কেন সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু ও প্ল্যান্ট নির্মাণ হলো না তার জবাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য বাজেট এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও জবাবদিহিতামূলকভাবে খরচ করার দাবি জানান।

আলোচনা সভার সভাপতি ও সঞ্চালক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পূর্বেও ভঙুর ছিল, দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল। করোনায় তা পুরো উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ৯টি হাসপাতালে সম্প্রতি ৩৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়ম হয়েছে। খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তেই তা বেরিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে, দুর্নীতিবাজ কারো আজ পর্যন্ত শাস্তি হয়নি। দায়ীদের বদলী ও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ফলে দুর্নীতিবাজেরা আরও উৎসাহিত হচ্ছে। দুদকও স্বাস্থ্যের দুর্নীতি নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসাতে দেড় কোটি টাকা প্রয়োজন, ৩৭৫ কোটি টাকা দিয়ে ৩০০ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো যেতো, সময়ও বেশি লাগে না। এটা আমাদের দেশীয় প্রযুক্তিতেই সম্ভব হলেও তা করা হচ্ছে না। এ দায় সরকার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।

তিনি জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সর্বজনের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন এবং একই সাথে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সকল বাম প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ, ছাত্র-যুব, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে বিকল্প উদ্যোগ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..