স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম আজ ২৫ মার্চ ২০২১ এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তিসংগ্রামকে ধ্বংস করতে পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনী অতর্কিত হামলা করে ঢাকায় ছাত্র-ইপিআর-পুলিশ-বস্তিবাসীসহ অসংখ্য নিরীহ ঘুমন্ত মানুষকে হত্যা করেছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ নারীকে নিপীড়ন করেছে, কিন্তু বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। আজ ৩০ লাখ মানুষের রক্ত ও দুই লাখ নারীর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশ শাসক গোষ্ঠীর লুটপাট আর ভ্রান্তনীতির কারণে জন্মকালীন স্বাধীনতার চেতনা থেকে অনেক দূরে। গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা- জাতীয়তাবাদ-সমাজতন্ত্রের অঙ্গীকার থেকে দূরে সরে গেছে শাসকগোষ্ঠী। তারা বলেন, আজ গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, সমাজতন্ত্র নির্বাসিত। অন্যদিকে রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে জেকে বসেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে যোগসাজশে শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যসূচি সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জলাঞ্জলী দিচ্ছে তাদের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী আখ্যায়িত করে তাদের ৭২’র সংবিধানের মূল চেতনায় ফিরে আসার আহ্বান জানান। তারা বলেন, শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের অধিকার বাস্তবায়িত না হলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে কণা পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধে স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ ভিশন মুক্তিযুদ্ধ ৭১ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের আহ্বান জানান। তারা দেশের বাম-প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৭১’র চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করার আহবান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের এবং নিপীড়িত নারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। শহীদ পরিবারসমূহের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারত ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
আগামীকাল ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে বিকেল ৪টায় মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার জন্য জাতীয় পতাকা ও পার্টি পতাকা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ‘শিখা চিরন্তন’ থেকে পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
Login to comment..