Revolutionary democratic transformation towards socialism

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উগ্র সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের আহ্বান


স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় আয়োজনে উগ্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণের প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আজ ২৪ মার্চ ২০২১, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন গুজরাটের কসাই খ্যাত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার হোতা নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক প্রমুখ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন আকবর খান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঙ্গাবাজ, উগ্র সাম্প্রদায়িক মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। পাশাপাশি সরকার দেশের মানুষের চলাচল এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। শুধু তাই নয়, মানুষের

প্রতিবাদ ব্যক্ত করার প্রায় সকল পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর ফ্যাসিবাদী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, এভাবে মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাবে না। চলমান স্বৈরশাসনের পৃষ্ঠপোষক সাম্প্রদায়িক আরএসএস’র প্রচারক নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের মানুষ স্বাগত জানাবে না।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, গতকাল মোদীর আগমন ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বামপন্থি ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বর্বর হামলা করেছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্র জোটসহ বামপন্থি ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করেছে। এমন বর্বর হামলা করেও প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ সংগ্রামকে তারা দমন করতে পারেনি।
কালো পতাকা মিছিলের পূর্বে সমাবেশে বক্তরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। ভারতের জনগণের সাথে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। কিন্তু যেই আদর্শের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে তার বিরোধী মতাদর্শের একজন দাঙ্গাবাজ, উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অতিথি হবেন সেটা এদেশের মানুষ সমর্থন করে না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে ভারতের মুসলিম, দলিত, আদিবাসী হত্যায় অভিযুক্ত নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে কালো পতাকা হাতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..