বাম গণতান্ত্রিক জোটের স্বাস্থ্য কনভেনশন অনুষ্ঠিত জনস্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ গণবিরোধী ফ্যাসিবাদী সরকার উচ্ছেদ করতে হবে

Posted: 17 ডিসেম্বর, 2020

বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আজ ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় করোনা অতিমারি : সর্বজনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কনভেনশন মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে জোট সমন্বয়ক ও সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে বিশেষজ্ঞ বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহাবুব, অধ্যাপক ডা. আবু সাঈদ, অধ্যাপক হারুন আর রশীদ, অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতার, ডা. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, ডা. মুশতাক হোসেন, অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম, ডা. লেলিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডা. রফিকুল হাসান জিন্নাহ, ডা. মনীষা চক্রবর্তী, অনুজীব বিজ্ঞানী ডা. রুবায়েৎ হাসান তানভীর, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. রওশন আরা, অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান। কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী)’র মানস নন্দী, ইউসিএলবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নজরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র হাবিব বসুনিয়া। উপস্থিত ছিলেন ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া। নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা অতিমারিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত। বাংলাদেশে ১৮ মার্চে করোনা শনাক্ত হয়, পরবর্তী তা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার এই মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকেই উদাসিনতা দেখিয়েছে, যে কারণে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা শনাক্তে পরীক্ষা কেন্দ্র দেশের জেলাগুলোতে ও স্থাপন করতে পারেনি। তাই ব্যাপক মানুষ করোনা শনাক্তের বাইরে থেকে গেছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের যাছাই-বাছাই ছাড়া করোনা টেস্টের জন্য নিম্নমানের হাসপাতালকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই হাসপাতালগুলো পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দিয়েছে। যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে, মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম করে কোর্টি কোর্টি টাকা লুটপাট করেছে। সরকার এর দায় নেয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতাকে প্রধানমন্ত্রী সফলতার সার্টিফিকেট দিয়ে দায়মুক্ত করেছে। লকডাউন দিয়ে তার দায় না নিয়ে তাকে সাধারণ ছুটি নাম দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছে। যার কারণে গরিব মানুষ কাজ হারিয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে পড়েছে। আর সরকার এর জন্য সহায়তামূলক পদক্ষেপ নিলেও তা জনগণের কাছে না পৌঁছে আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীরা লুটপাট করে নিয়েছে। কনভেনশনে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ গণবিরোধী ফ্যাসিবাদী সরকার উচ্ছেদের বিকল্প নাই। কনভেনশন থেকে টেস্টবৈরী পরিবেশের পরিবর্তে টেস্টবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রতিদিন বিনামূল্যে কমপক্ষে এক লাখ টেস্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। কনভেনশনে মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বাজায় রাখা জন্য ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। কনভেনশনে দাবি জানানো হয়, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যে কোন ব্যবসায়ীক অপচেষ্ট রুখে দিয়ে বিনামূল্যে দেশের সকল মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে হবে। কনভেনশনে ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য’ মডেল নির্মাণ করতে হবে যাতে সর্বজনের স্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়। কনভেনশনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য প্রশাসন পুনর্বিন্যাস করার দাবি জানানো হয়।