বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ
হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না
সমাবেশ-মিছিল উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কর
Posted: 07 ডিসেম্বর, 2020
তাজরীন ও এ ওয়ানের শ্রমিকদের উপর আজ ভোর রাতে পুলিশি হামলা ও উচ্ছেদের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য দেন।
আজ পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণসংহতির সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ (মার্কবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবির আতিক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সরকার রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতাসীন হয়েছে। তাই তারা রাতের আধারেই অসহায় মানুষকে আক্রমণ করে তাদেরকে দমন করতে চায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তাজরীনের আহত শ্রমিকরা তিন দফা দাবিতে গত আশি দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উন্মুক্ত আকাশের নিচে অবস্থান করেছে। তাদের দাবি সরকারের কানে প্রবেশ করে নাই। সরকার গার্মেন্ট মালিকদের নির্দেশে পুলিশ দিয়ে নিপীড়ন করে আহত শ্রমিকদের পুনরায় পিটিয়ে আহত করে উচ্ছেদ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ওয়ানের শ্রমিকরা ১১ মাস ধরে মজুরি বঞ্চিত। তাদের মজুরি দেয়ার ব্যবস্থা না করে লাঠিপেটা করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সরকার গণবিরোধী। এ সরকার মালিকদের সরকার। তাই শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের দাবি তাদের কাছে পৌঁছায় না। নেতৃবৃন্দ ১ শতাংশ ধনিকদের এ সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সরকার পাটকল, চিনিকলসহ সকল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় দিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতোমধ্যে সব পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ৬টি চিনিকল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই রাষ্ট্রবিরোধী শ্রমিক বিরোধী অনির্বাচিত সরকারের আর ক্ষমতায় টিকে থাকার কোন অধিকার নাই।
নেতৃবৃন্দ তাজরীনের আহত শ্রমিকদের তিন দফা ও এ ওয়ান শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পািরশোধের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বুঝতে পেরেছে তার পাঁয়ের নিচের মাটি ক্রমে সরে যাচ্ছে তাই পুলিশি নির্দেশের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ-মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা অবিলম্বে এ ধরনের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহরের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে।