বন্যার্ত মানুষ বাঁচানোর দাবি সিপিবির
“বন্যা মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ অপ্রতুল”
Posted: 18 জুলাই, 2020
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, করোনা-মহামারির মধ্যেই এবার বন্যা দেখা দিয়েছে। তাই এবারের বন্যার ভিন্নতা রয়েছে। করোনার মধ্যে বন্যা দেখা দেয়ায়, মানুষের দুর্ভোগ অনেক বেড়ে গেছে। বন্যা মোকাবিলায় সরকারের আগাম প্রস্তুতি না থাকায়, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। করোনা-মহামারির কারণে বন্যা মোকাবিলায় বেসরকারি-সামাজিক নানা উদ্যোগের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তাই বন্যার্ত মানুষ সরকারি উদ্যোগের দিকে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
আজ ১৮ জুলাই পার্টির ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমে’র ভার্চুয়াল সভায় সিপিবির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, রফিকুজ্জামান লায়েক, মিহির ঘোষ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. ফজলুর রহমান।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বন্যার ভয়াবহতা বাড়ছে। একসঙ্গে কয়েকটা প্রধান নদীর পানি বাড়ছে। দেশের বেশ কিছু জেলা প্লাবিত করে, ঢাকার দিকে বন্যা ধেয়ে আসছে। করোনা-মহামারির কারণে বন্যা-পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি কম গুরুত্ব পাচ্ছে। বন্যার্ত মানুষ বাঁচাতে ত্রাণ, আশ্রয় ও পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
নেতৃবৃন্দ বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
‘বঙ্গভবন থেকে গণভবন মানবপ্রাচীর’ কর্মসূচি
সফল করার আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে, পাটকল বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পাট ও পাটশিল্প রক্ষায় আগামী ২০ জুলাই সকাল ১১টায় ‘বঙ্গভবন থেকে গণভবন মানবপ্রাচীর’ কর্মসূচি এবং একইসঙ্গে সব জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাভাইরাসের আঘাতে মানুষ যখন বিপর্যন্ত, তখন গণবিরোধী সরকার ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করেছে। এর ফলে শুধু ২৫ হাজার শ্রমিকই নয়, পাটচাষিসহ পাটশিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যুক্ত লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে গোটা দেশ। পাটকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দেশে-বিদেশে যে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে, তাকে সরকার গলা টিপে হত্যা করছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের প্রধান শিল্প পাটকলগুলো রাষ্ট্রীয়করণ করা ছিল, ৫৪-র যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা ও ৬৯-র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রসমাজের ১১ দফার অন্যতম অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন। ১৯৯২ সালে আদমজী পাটকল বন্ধ করেছিল বিএনপি-জামাত সরকার। আর এবার আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিল। গণবিরোধী এই সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে গণবিরোধী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। পাটকল বন্ধ তথা পাটশিল্প ধ্বংসের সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সিপিবির নেতৃবৃন্দ পাট ও পাটশিল্প রক্ষায় ২০ জুলাই যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নেমে আসার জন্য দেশপ্রেমিক জনতার প্রতি আহ্বান জানান।