রাশিয়ার গাজপ্রমের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নিন্দা অবিলম্বে সমঝোতা স্মারক বাতিলের দাবি

Posted: 29 জানুয়ারী, 2020

বাংলাদেশের স্থলভাগ ও বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য রাশিয়ার গাজপ্রমের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স। বিনা দরপত্রে গাজপ্রমকে গ্যাস উত্তোলনের এ দায়িত্ব দেয়া হয়। পেট্রোবাংলার সাথে সমঝোতা অনুযায়ী গাজপ্রম বাংলাদেশের স্থল ও সাগর ভাগে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করবে। আর বাপেক্সের সাথে সমঝোতা অনুযায়ী ভোলা দ্বীপের গ্যাসক্ষেত্রে গাজপ্রম উন্নয়ন ও অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ করবে। বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ বিনা দরপত্রে গাজপ্রমকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে বাপেক্স ভোলা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে এবং ২০০১ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করছে। বাংলাদেশের দুই বছরের মজুদের সমান গ্যাস রয়েছে ভোলা গ্যাসক্ষেত্রে। বাপেক্সের আবিষ্কার করা গ্যাসক্ষেত্র কেন গাজপ্রমকে দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করেন জোট নেতৃবৃন্দ। বাম গণতান্ত্রিক জোট সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন কবির আতিক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন দুলাল, আকবর খান। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্যাস উত্তোলন করলে বাপেক্স ও গাজপ্রমের মধ্যে গ্যাস ভাগাভাগি হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে দেশীয় কোম্পানি কর্তৃক আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের একটি বড় অংশের গ্যাস ফের বেশি দামে গাজপ্রমের কাছ থেকে সরকারকে কিনতে হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভ্রান্ত নীতি পরিহার করে গাজপ্রমের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সাংবিধানিক পদের শপথ ভঙ্গ করে সভা আহ্বান করায় অবিলম্বে দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট সভায় অপর এক সিদ্ধান্তে বলা হয় দুদক চেয়ারম্যানের পদ একটি সাংবিধানিক পদ। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ তার বর্তমান পদের শপথ ভঙ্গ করে সাবেক সচিবদের সভা আহ্বান করে তার সাংবিধানিক দায়িত্বের বরখেলাপ করেছেন। বর্তমান সরকারের বশংবদ সাবেক সচিবদের সংগঠন গড়ে তোলার যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন তা তার পদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তার এই অনৈতিক ও অসাংবিধানিক কাজের জন্য নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুদকের চেয়ারম্যান পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেন।