‘দুর্নীতিমুক্ত নগরভবন, নাগরিকদের প্রবেশাধিকারের জন্য দরজার পর্দা সরিয়ে ফেলা হবে’ -মেয়র প্রার্থী ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল

Posted: 23 জানুয়ারী, 2020

##মগবাজার-মধুবাগ-হাতিরঝিলে কাস্তে মার্কার প্রার্থীর গণসংযোগ-পথসভা ## ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ’ ‘কাস্তে মার্কার প্রচারে বাঁধা ও কর্মীদের ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে -রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ২৩ জানুয়ারি ২০২০, সকাল থেকে মগবাজার-মধুবাগ-হাতিরঝিল এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কাস্তে মার্কার মেয়র প্রার্থী ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এসময় সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক জাহিদ হোসেন খান, ঢাকা কমিটির নেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সিপিবি’র নেতা বিকাশ সাহা, মস্তান শের, জহিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা ডমিনিক ক্যাডেট, নারী নেত্রী রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ তার সাথে ছিলেন। বিভিন্ন পথসভা ও গণসংযোগে ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল বলেন, বর্তমান নগরভবন দুর্নীতিগ্রস্ত। সরকারি দলের সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মির কারণে জনগণ নগরভবনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। জনগণের নাগরিক সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে নগরভবনকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে, ‘দুর্নীতিমুক্ত নগরভবন, নাগরিকদের প্রবেশাধিকারের জন্য দরজার পর্দা সরিয়ে ফেলা’ হবে আমার কাজের প্রথম ধাপ। ডা. রুবেল বলেন, সব নাগরিকের পরিপূর্ণ সেবা নিশ্চিত করতে দরকার ‘নগর সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য আমাদের সংগ্রাম চলবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারেননি, আজ আবার তারা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে জনগণকে সজাগ থেকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে নীতিনিষ্ঠ বিকল্প শক্তির পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।’ তিনি ইভিএম-এ ভোটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। গণসংযোগ ও পথসভায় সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র প্রার্থীরা প্রথমদিন থেকে প্রতিদিন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে। এরা নির্বাচনকে টাকার প্রতিযোগিতার প্রদর্শনীতে পরিণত করেছে। এসব আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের নামধারীরা কাস্তে মার্কার প্রচার ও গণসংযোগে বাঁধা দিচ্ছি, কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছ। এ বিষয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নীরব। তিনি বলেন, আজও গণসংযোগে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ‘ভোট দিতে পারবো কী?’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনও মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। এবার জনগণ ভোটাধিকার বঞ্চিত হলে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ দায় নিয়ে বিদায় নিতে হবে। তিনি নিজেদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে ও ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া আজ কাফরুল, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মাদপুর, তেজগাঁও, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখানসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় সিপিবি’র নেতা-কর্মীরা কাস্তে মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ করেন।