‘কাস্তে’ মার্কার প্রার্থী জলি তালুকদারসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিপিবি
Posted: 16 ডিসেম্বর, 2018
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোট মনোনীত ‘কাস্তে’ মার্কার প্রার্থী সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সম্পাদক ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমরেড জলি তালুকদারসহ নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পূর্বপরিকল্পিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গতকাল ১৫ ডিসেম্বর নেত্রকোণার সমাজ ও মাঘান ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে কমরেড জলি তালুকদার নেতা-কর্মীদের নিয়ে যখন ফিরছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা পার্থ প্রতীম সরকার গুরুতর আহত হন। তিনি ছাড়াও অনন্ত সরকার, শাহীন আলমসহ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আরো কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে কমরেড জলি তালুকদারও রেহাই পাননি। তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারকাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও হ্যান্ড মাইক সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় সিপিবি নেতা আব্দুল মোমিনের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এবং ভাঙচুর চালায়। এমনকি মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতরা চিকিৎসা নেয়ার সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে গিয়ে হুমকি দেয়। কমরেড জলি তালুকদার মোহনগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে, থানার ওসি তা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, নেত্রকোণায় যে হামলা হয়েছে, তা পূর্বপরিকল্পিত এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সিপিবিসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, লিফলেট ছিড়ে ফেলছে এবং নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। গতকাল ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ১২টি অভিযোগ জমা দেওয়ার পরই নেত্রকোণায় এই হামলার ঘটনা ঘটল। সরকার ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। আর নির্বাচন কমিশন সরকারের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার বদলে দেশকে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। ন্যূনতম দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম থাকলে, নির্বাচন কমিশন বর্তমান অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসত।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যুগপৎ আয়োজন জনগণ এবার ব্যর্থ করে দেবে। সব ধরনের হামলা, নিপীড়নের জবাব ৩০ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ দেবে।