কমরেড মোহাম্মদ নবী তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস
Posted: 03 এপ্রিল, 2018
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র কন্ট্রোল কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কমরেড মোহাম্মদ নবী’র স্মরণসভা পুরানা পল্টনস্থ প্রগতি সম্মেলন কক্ষে বিকাল ৫টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আলোচনা করেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনজুরুল আহসান খান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য কাজী সোহরাব হোসেন, মহিলা পরিষদের সহ-সভানেত্রী ফওজিয়া মোসলেম, আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, মোহাম্মদ নবী’র কন্যা নাহিদ নবী লেনা, পুত্র ওয়াসিম নবী পলাশ। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন।
স্মরণসভায় আলোচকরা বলেন, কমরেড মোহাম্মদ নবী’র জীবন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে সমাজতন্ত্রের লড়াইয়ে। কমরেড মোহাম্মদ নবী তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস।
আলোচকরা আরও বলেন, চেতনার শক্তিকে কোন পারিপার্শ্বিক জমকালো জীবন যাপন প্রভাবিত করে শ্রেণির লড়াই থেকে বিচ্যুত করতে পারেনা। তার সর্বকৃষ্ট উদাহরণ কমরেড মোহাম্মদ নবী। পার্টির সিদ্ধান্তে উচ্চবিত্তদের সাথে চলাফেরা ও উচ্চবিত্তের মাঝে কাজ করলেও কমরেড মোহাম্মদ নবী আমৃত্যু কোনদিন শ্রেণি সংগ্রামের পথ থেকে বিচ্যুত হননি। সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে সকল পরিস্থিতিতে এগিয়ে নিয়েছেন।
বক্তারা স্মরণসভায় বলেন, কমরেড মোহাম্মদ নবী মানুষকে ভালবাসতেন। মানুষের কল্যাণে, সমাজ প্রগতির লড়াইকে এগিয়ে নিতে আমৃত্যু ছিলেন বদ্ধপরিকর। তিনি ৯০ পরবর্তী সোভিয়েত বিপর্যয়ের পরে বিলোপবাদের বিরুদ্ধে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে লড়াই করে পার্টিকে রক্ষা করেছেন।