শহীদ ডা. মিলন দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. মিলনের কবরস্থানে ও টিএসসির মোড়ের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, ডা. আবু রকিব, ডা. ফারুকীসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
এ সময় সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৯০-এ স্বৈরাচার উচ্ছেদ করলেও স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা যায়নি। এ সময় ক্ষমতায় থাকা দলগুলো নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নিজেরাই স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছিল। দেশকে অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্র করা হয়েছিল। গণতন্ত্রহীনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে পুরো ভোট ব্যবস্থাই ধ্বংস করা হয়েছিল। সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে স্বৈরাচারী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিও বেড়ে উঠেছিল ।
২০২৪-এ হাজারো মানুষের রক্ত দেওয়ার মধ্য দিয়ে অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। এবারের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা প্রতিধ্বনিত হয়েছে, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদের সাথে সাথে বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ বলেন স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে নীতি-নিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, আজ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪। শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে চিকিৎসক নেতা ডা. মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
যা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করে। ১৯৯০-এর ৪ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হয়।