প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য এখন সময়টা ভাল নয়। অধিকাংশ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যয় বেড়েই চলেছে। সবার কাজের নিশ্চিয়তা নেই। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেবে না। বাজেট বক্তিতায় মিষ্টি কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে নানাভাবে কর ও মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পথ আরো প্রশস্ত করা হয়েছে। আজ জাতীয় সংসদে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫ পেশ করার পর এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, এবারের ঘোষিত বাজেট ধনিক শ্রেণীর দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় মেহনতি ও নিম্নআয়ের মানুষের উপর চাপাবে। ফলে গরিব মেরে ধনী পোষার অতীতের ধারা এবারেও বাজেটে অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে এই সংকোচনমূলক বাজেট প্রবৃদ্ধি কমাবে কিন্তু বেকারত্ব বাড়াবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ বিদ্যুৎ গতিতে বৃদ্ধি করার কারণে সকল আমদানি দ্রব্যের দাম বিদ্যুতের বেগে বৃদ্ধি পাবে। সরকার একদিকে মূদ্রাস্ফীতিকে এই বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসাবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু অন্যদিকে আইএমএফ এর নির্দেশ পালন করে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তার দায় গ্রাহকের উপর চাপিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মূদ্রাস্ফীতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা দারিদ্রের দিকে ঝুঁকে পড়ছে এবং দরিদ্ররা চরম দরিদ্র হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। সেই সঙ্গে উৎপাদনশীল খাতে সাধারণ শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমছে। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- শ্রমিকরা দাবি করেছিল চাল-ডাল-তেল ও শিশু খাদ্যের রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু বাজেটে তা করা হয়নি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যারা ঋণখেলাপী ও টাকা পাচারকারী তাদের কাছ থেকে সরকার তা আদায় না করে ব্যাংকের সুদের হার বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে। ফলে সে সমস্ত ব্যাংক ঋণগ্রহীতারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে তার উৎপাদনশীল ব্যবহার করে ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করেছে, তাদের এখন বর্ধিত সুদের বোঝা বাধ্য হয়ে বহন করতে হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন, অর্থনৈতিক সংকটের মুখে প্রণীত এ বাজেট আয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে সাধারণ জনগণের উপর। কিন্তু জনগণের জন্য বাজেটে কল্যাণমূলক ব্যয় আরো হ্রাস করেছে।