বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ১৯ জানুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার জনগণের পকেট কাটার উৎসবে নতুন করে শুরু করেছে। নিজেদের আর্থিক সংকট মোকাবেলা এবং বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ’র নির্দেশ মেনে চলতে নানা খাতে মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার এই উৎসবের আয়োজন আবারো শুরু হয়েছে। আকস্মিকভাবে চালের দাম বাড়িয়ে সাধারণ জনগণের পকেট কাটা চলছে। আকস্মিকভাবে গ্যাসের মিটার ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সব জায়গায় নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ করতে না পারলেও আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। মূল্য সমন্বয়ের নামে বিভিন্ন খাতে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ানোর কথাও ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাধারণ মানুষের আয় কমে গেলেও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ অতিষ্ঠ। শ্রমিকদের বাঁচার মতো জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষিত হয়নি। সব মানুষের মানসম্মত ৩৬৫ দিনের কাজের নিশ্চয়তা নাই। শিক্ষা-স্বাস্থ্য মানুষের নাগালের বাইরে। বছরের শুরুতে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় লুটপাটের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বিশ্ব ব্যাংক আইএমএফ’র সিদ্ধান্ত মানতে মূল্যবৃদ্ধির উৎসব করা হচ্ছে ও হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তবাজারের নামে চলমান লুটপাটের অর্থনীতির ধারা এই অবস্থাকেই বহাল রাখছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এই সরকার এই ধারাকেই অব্যাহত রেখে আবারো দেশকে লুটপাটের অবাধ ক্ষেত্র তৈরি করবে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটি না পারলে সাধারণ জনগণের পকেট কাটা নয় পকেট নিংড়ানোর উৎসব চলবে।
বিবৃতিতে নিত্যপণ্যসহ দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।