সিপিবি’র একাদশ কংগ্রেসের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত

Posted: 29 অক্টোবর, 2016

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র একাদশ কংগ্রেসের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন ঢাকার কাজী বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৯ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় অধিবেশন শুরু হয়। ৬৮২ জন প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে ২১৭ জন নারী ও ১৭ জন আদিবাসী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও ১০৮ জন পর্যবেক্ষক, ২৬ জন ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টির প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস ৭ সদস্যের সভাপতিম-লী নির্বাচিত করে, যারা কংগ্রেসের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সভাপতিম-লীর নির্বাচিত সদস্যরা হলেন কমরেড মনজুরুল আহসান খান, কমরেড শহীদুল্লাহ চৌধুরী, কমরেড ডা. দিবলোক সিংহ, কমরেড অ্যাড. মেহেরুল ইসলাম, কমরেড সুতপা বেদজ্ঞ, কমরেড ফিরোজা খন্দকার চামেলী, কমরেড লাকী আক্তার। এরপর, কংগ্রেস ১০ সদস্যের অডিট কমিটি নির্বাচিত করে যারা গত চার বছরের সমুদয় আর্থিক হিসাব-নিকাশ নিরীক্ষা করে কংগ্রেসে রিপোর্ট উত্থাপন করবে। কংগ্রেস ১২ সদস্যের প্রস্তাব বাছাই কমিটি এবং ৯ সদস্যের ক্রেডেন্সিয়াল কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও প্রথম অধিবেশনে কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, কমরেড হায়দার আকবর খান রনো, কমরেড মো. শাহ আলমকে কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। পার্টির রীতি অনুযায়ী মুখপাত্রগণ কংগ্রেসের অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যম ও দেশবাসীকে অবগত করার দায়িত্ব পালন করবেন। আজ কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে আলোচ্যসূচি, অনুষ্ঠানসূচি, কার্যপদ্ধতি উত্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। এ অধিবেশনে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন। শোক প্রস্তাব গৃহীত হলে সকল প্রতিনিধি পর্যবেক্ষকগণ দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এরপর কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির অভ্যর্থনা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স কংগ্রেসের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক, ভেটারান কমরেডদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট উত্থাপিত হয়েছে। পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন। এ রিপোর্টের উপরে আজ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি তাদের মতামত ব্যক্ত করে আলোচনা করবেন। আজ দুপুর ১২টা থেকে কংগ্রেসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টির প্রতিনিধি দলের প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। দুপুরের খাবার বিরতির পূর্বে তাদের বক্তব্য পর্ব শেষ হয়। এ সময় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বন্ধুপ্রতিম পার্টির নেতৃবৃন্দকে কংগ্রেসের স্মারক উপহার দেন। ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির লড়াই-সংগ্রামের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় কংগ্রেসের তৃতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিনিধিদের আলোচনার প্রেক্ষিতে সংযোজন-বিয়োজনসহ সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট অনুমোদন করা হবে। কাল রাজনৈতিক প্রস্তাব উত্থাপন, প্রতিনিধিদের আলোচনা ও অনুমোদন, গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাবসমূহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে। এ ছাড়াও আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স হলে “সা¤্রাজ্যবাদ, নয়া-উদারনীতিবাদ, ধর্মীয় মৌলবাদ” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।