বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের অফিসে হামলা-ভাঙ্গচুর, তালাবন্ধ করা, নেতৃবৃন্দকে অফিসে ঢুকতে না দেওয়া, সভা-সমাবেশে বাধা প্রদান, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, গণ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, স্বৈরাচারী শাসকরা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে ঐ সব স্বৈরাচারী শাসকরা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারে না।
ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন বন্ধ, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দা্বিতে আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ বিকেল ৪টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডা. হারুন উর রশীদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা রুবেল সিকদার।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সভা-সমাবেশ বন্ধ করে শুধু রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেনি, জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। ভয়ের রাজত্ব তৈরি করে দুর্নীতি-লুটপাট অব্যাহত রেখে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাইছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দেশকে পুলিশি ও হোন্ডা গুন্ডাদের রাজত্বে পরিণত করেছে। সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধি দলের সভা সামবেশকে কেন্দ্র করে এসব ভূমিকা আরো নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া ও তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বলেন, দেশে বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।
নেতৃবৃন্দ ভোট ও ভাতের লড়াই জোরদার করতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে যার যার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজস্ব দা্বি বাস্তবায়নে গণসংগ্রাম, গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ এজন্য যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নেমে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।