নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, পাচারের টাকা ফেরত ও ঋণখেলাপিদের কাছে থেকে টাকা উদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারর অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২২ দেশব্যাপী পদযাত্রা, সমাবেশ, বিক্ষোভ এর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজ ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদ (সার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের রুবেল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের ধারার দেশ পরিচালিত হওয়ায় সংকট তীব্র হয়েছে। দুঃশাসনের অবসানের সাথে ব্যবস্থা বদলের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
এ জন্য বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নিজ নিজ দাবিতে সংগঠিত হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান হয়।
সভায় বলা হয়, সরকার সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে দুর্ভিক্ষের হুমকি দিয়ে এক শ্রেণির লুটেরাদের লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে, নিজেই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। লুটের টাকা উদ্ধার করেছে না, আইএমএফ এর কাছে থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিয়ে দেশকে আরও ঋণের জালে আবদ্ধ করে ফেলছে।
সভায় সভা সমাবেশে বাধাদান, মিথ্যা মামলা, হুমকি ধামকি ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, স্বৈরাচারী আচরণ করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনকালীন সময়ের নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগরে এলাকায় এলাকায় ও দেশের বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা, সমাবেশ, বিক্ষোভ এর কর্মসূচি নেওয়া হয়। এসব কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগ দেবেন।
এসব দাবিতে আগামী ২ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ এর কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।