দাম কমাও, রেশনিং চালু কর, মানুষ বাঁচাও
বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোল
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দেশের এক সংকটময় মুহূর্তে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বক্তব্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য ও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে গণমাধ্যমের যে সকল বন্ধুরা উপস্থিত হয়েছেন তাদেরকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দেশ আজ সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। সরকার ‘উন্নয়নের’ ঢাক-ঢোল পেটালেও দেশের মানুষের বেঁচে থাকা আজ দুরূহ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়ে নাই কিন্তু চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। আর্থিক সংকটের কারণে দেশের প্রায় ৭৩ ভাগ মানুষ খাদ্য গ্রহণ কমিয়েছে। বাড়ি ভাড়া-গাড়ি ভাড়া, শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যয় লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। সরকার যেসব মেগাপ্রকল্প ও উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে তা প্রধানত দেশি-বিদেশি লুটেরা শ্রেণির অভাবিত লুটপাটের উৎসে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক আইনের শাসন ছাড়া কোনো উন্নয়ন যে জনকল্যাণ তথা সামগ্রিকভাবে দেশের কল্যাণ বয়ে আনে না এ কথা সর্বজনবিদিত। অথচ তেমনটিই ঘটে চলেছে। জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ ক্রমাগত সংকোচন করে এসকল বৃহৎ প্রকল্পে বরাদ্দ করা হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার ডিজেল-পেট্টোলসহ জ্বালানির মূল্য প্রায় ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে পরে লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছে। বিদ্যুত নিয়ে শাসকদের উন্নয়নের গল্প দেশবাসীর গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। এখন আবার বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়ানোর পাঁয়তারাও করছে সরকার।
জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার আজ নির্বাসিত। দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের প্রতি জনগণের বিন্দুমাত্র আস্থা নাই। বর্তমান সরকার আমলাতন্ত্র ও পুলিশের উপর নির্ভর করে টিকে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতায় থেকেই ভিন্ন কায়দায় মেশিনে ভোট চুরির মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার ফন্দি করছে সরকার। সরকারের ইচ্ছায় ১৫০ আসনে ইভিএম এ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কমিশন। ডলার সংকট, রিজার্ভ ঘাটতি, আমদানি ব্যয় মিটাতে যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএম মেশিন ক্রয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প প্রস্তাব দেশবাসীর সাথে এক নির্মম তামাশা ও ক্ষমতায় আসার নীল নকশার অংশ।
বিরোধী মত-চিন্তাকে দমন করার জন্য চালানো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন। সভা-সমাবেশের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালা-কানুনের মাধ্যমে জনগণের মত প্রকাশের সকল রাস্তা রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশে চলছে গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট দুঃশাসন। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা নির্মাণ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না, বেকার সমস্যা সমাধানে সরকারের কার্ষকর কোনো উদ্যোগ নাই। উপরন্ত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল-চিনিকল বন্ধ করে বেকারের মিছিল আরও দীর্ঘায়িত করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের চেহারা আজ বিবর্ণ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহায়-সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামীর মত কুপমণ্ডূক ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর পরামর্শে পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক বিবেচনায় পরিবর্তন করা হয়েছে। এভাবে মৌলবাদী ভাবমানস-এর জমিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। নারী শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ যৌন নিপীড়ন ক্রমাগত বাড়ছে। তাই আজ বাংলাদেশকে রক্ষায় এই ফ্যাসিবাদী সরকারের উচ্ছেদ ও শোষণমূলক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই । আর এই লক্ষ্যে সকল বাম-প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার সংগ্রাম বেগবান করা আজ বিশেষভাবে জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সকল বাম-প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও সকল শুভবোধসম্পন্ন শক্তি ও ব্যক্তিবর্গকে এবং আপামর দেশবাসীকে আমরা নিম্নোক্ত দাবিতে সোচ্চার হওয়ার এবং শ্রেণি সংগ্রাম ও গণআন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাই।
১। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে কালোটাকা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতা মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও খণখেলাপী-ব্যাংক ডাকাত, অর্থপাচারকারী, কালোটাকার মালিক, দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, না ভোটের বিধান ও প্রতিনিধি প্রত্যাহারসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২। সংবিধানের দ্বিতীয় ও অষ্টম সংশোধনীসহ সকল অগণতান্ত্রিক সংশোধনী, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ইত্যাদি নিবর্তনমূলক ও অগণতান্ত্রিক সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে। গণমাধ্যম ও বিচারবিভাগসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে হবে।
৩। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, দমন-পীড়ন, নির্যাতন ও গুম-খুন, ক্রসফায়ার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং গুম-খুন-নির্বিচার হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে। সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ, ধর্মঘট, হরতালসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হস্তক্ষেপ আইন করে বন্ধ করতে হবে।
৪। জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। চাল,ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। কালোবাজারী, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ-পানির মূল্যবৃদ্ধির অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। গাড়ি ও বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চাল, ডাল, তেল, নুন, চিনি, আটা, পিয়াজসহ ৯টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ, টিসিবিকে কার্যকর করে রাষ্ট্রীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সকল নাগরিকের কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। গ্রাম-শহরের শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে আর্মি রেটে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ওএমএস কার্যক্রম সারা বছর গ্রাম-শহর সর্বত্র চালু রাখতে হবে।
৫। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাটের হোতাদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ, কালো টাকা ও খেলাপী ঋণ উদ্ধার করে শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতসহ উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকার-প্রশাসনের প্রভাব মুক্ত কার্যকরি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
৬। অবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের মনুষ্যচিতভাবে বাঁচার মতো জাতীয় ন্যূনতম মজুরি বিশ হাজার টাকা নির্ধারণ ও মালিকানা নির্বিশেষে সকল ক্ষেত্রে আইন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে কাজের নিরাপত্তা ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধ সকল পাটকল, চিনিকল চালু করতে হবে। ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলের নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করে লাইসেন্স দিতে হবে। চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করতে হবে। কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে হবে। ইউরিয়া সারের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার; হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ফসল ক্রয় করতে হবে। আমূল ভূমি সংস্কার করতে হবে।
৭। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিচার ও দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে। আদিবাসীদের ভূমির অধিকার, সংস্কৃতি রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
৮। শিক্ষা-স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতি বাতিল করে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, বৈষম্যহীন ও একই ধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। সকলের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত ও নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সকল আইন বিলোপ করতে হবে।
৯। জাতীয় সম্পদের উপর জনগণের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে। খনিজ সম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধ আইন প্রণয়ন করতে হবে। জ্বালানিখাতে বিশেষ বিধান (দায়মুক্তি আইন) বাতিল করতে হবে। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে হবে, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি-লুটপাটের সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে। প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংসকারী ও ঝুকিপূর্ণ রামপাল, রূপপুর বিদ্যুত প্রকল্প বাতিল করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, দক্ষিণাঞ্চলের জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাপেক্স-পেট্রোবাংলার সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। ভোলার গ্যাস দ্রুত জাতীয় গ্রিডে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
১০। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সৌদি আরব, চীন, রাশিয়া, জাপানসহ বিদেশিদের সাথে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক জনসন্মুখে প্রকাশ এবং দেশের স্বার্থবিরোধী সকল অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির নায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ভারতকে চাপ দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরৎ নেয়ার জন্য জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উসকানিমূলক হামলা বন্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
উল্লেখিত দাবি আদায় করে দেশ ও মানুষ বাঁচাতে গণআন্দোলন ও গণসংগ্রাম গড়ে তোলে বাম গণতান্ত্রিক জোট চলমান আন্দোলন বেগবান করতে নিন্মোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
১। আগামী ১৫ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে এগারটায় মৈত্রী মিলনায়তনে ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচনী ব্যবস্থা আমূল সংস্কার, সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্দলীয় তদারকি সরকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২। উপরোক্ত ১০ দফা দাবি আদায়ে অক্টোবর-নভেম্বর দুই মাসব্যাপী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩। আগামী ২২ অক্টোবর শনিবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
৪। নভেম্বর মাস জুড়ে বিভাগীয় শহরসহ বিভিন্ন জেলায় জনসভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ
উক্ত কর্মসূচি সফল করে দুঃশাসন হটানো, ব্যবস্থা বদল, বিকল্প গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে দেশবাসীর প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি আপনাদের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য ও কর্মসূচিসমূহ দেশবাসী জানতে পারবে। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে বক্তব্য শোনার জন্য আপনাদের আবারও জোটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
পুনরায় শুভেচ্ছাসহ
রুহিন হোসেন প্রিন্স
সমন্বয়ক
বাম গণতান্ত্রিক জোট
কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ