আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এতে পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ, ছাত্রনেতা দ্বীন ইসলাম, ছাত্রনেতা আজিজুল ইসলাম সায়েমসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পার্টির সভাপতি কমরেড মো. শাহ আলম ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ এক যৌথ বিবৃতিতে এ ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ স্বৈরাচারি সরকার মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারও গ্রাহ্য করে না। এ হামলার মধ্য দিয়ে তাদের প্রকৃত স্বৈরাচারি চরিত্রই প্রকাশ পেয়েছে। রাতের ভোটে নির্বাচিত এ সরকারের মানুষের কাছে সংবিধানের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
নেতৃবৃন্দ সরকারের এ স্বৈরাচারি আচরণের প্রতিবাদ করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে আজ নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সিপিবি আহুত জনসভা চলাকালে প্রথমে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে হামলাকারীদের প্রতিহত করে কর্মসূচি চলমান রাখেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের বক্তব্য চলাকালে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় ও লাঠিচার্জ করে।
এ হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠত হয়। আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।