সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান

Posted: 17 জুলাই, 2022

নড়াইলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুট, হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)  আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, “এখনকার ও অতীতের ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাম্প্রদায়িকতাকে লালন পালন করেছে। ক্ষমতার অন্যতম ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ অচেনা। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা খুঁটি গেড়ে বসেছে। একে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তি, গোষ্ঠী স্বার্থে, ক্ষমতার স্বার্থে।

এই অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া, ঘটনার সাথে জড়িত ও এর মদতদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়ায় এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। চলমান দুঃশাসন এইসব ঘটনাকে জিইয়ে রাখছে। এর বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”

তিনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও চলমান দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আজ ১৭ জুলাই ২০২২ বিকাল ৫টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড এ. এন. রাশেদা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ, কমরেড অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা ও কমরেড জলি তালুকদার। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. সাজেদুল হক রুবেল।

সমাবেশে কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গেছে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এ ধরনের অপকর্ম সংগঠিত করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

তিনি এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।

ডা. দিবালোক সিংহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ এখনও সব মানুষের বাসযোগ্য হয়নি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নীতিনিষ্ঠ, প্রগতিশীল, বাম গণতান্ত্রিক শক্তির বিকল্প সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ. এন. রাশেদা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যে অপশক্তি ও এর মদতদাতারা এর সাথে জড়িত তারা সরকারের সমর্থনেই এ কাজ করছে, এখনও করে চলেছে। তিনি এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।