টিসিবি‘র গাড়ী-দোকানের সংখ্যা ও পণ্য সরবারহ বৃদ্ধি, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, ঈদের আগে শ্রমিকের বেতন-বকেয়া-বোনাস পরিশোধ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের দাবিতে ১৫-১৭ এপ্রিল, ২০২২ দেশব্যাপী জেলা উপজেলা-ইউনিয়নে গণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
১ ও ২ এপ্রিল ২০২২ অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভা থেকে এ ঘোষণা করা হয়।
১ এপ্রিল সকাল ১০টা ৩০মিনিটে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ কমেরড শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সময়ের রাজনৈতিক কার্যক্রমের রিপোর্ট উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমেরড রুহিন হোসেন প্রিন্স । শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কমেরড লাকী আক্তার।
রিপোর্টে ২৮ মার্চ হরতালে ভয়-ভীতি, হামলা, গ্রেফতার উপেক্ষা করে সারা দেশের নেতা-কর্মীসহ যারা হরতাল সফল করেছেন তাদের অভিনন্দন জানানো হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, এই হরতালে আমরা জনসমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়েছি। আগামী দিনে আন্দোলনের এই ধারা অব্যাহত রেখে দু:শাসনের অবসান, ব্যবস্থা বদল ও নীতিনিষ্ঠ জনগণের আস্থাভাজন বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় রিপোর্টে।
সভায় হরতালে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ, হামলা-হুমকি, ভাংচুর, গ্রেফতার ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা করা হয়। এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান হয়।
সভা থেকে পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কমেরড মিহির ঘোষ ও ছাদেকুল ইসলামসহ গাইবান্ধার সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়। এবং অবিলম্বে কমেরড রিপুলের মুক্তি দাবি করা হয়।