সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষসহ ৬ জন নেতার জামিন বাতিলে সিপিবির উদ্বেগ

Posted: 19 জানুয়ারী, 2022

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড মিহির ঘোষসহ সিপিবির ৬ জন নেতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় মহামান্য হাইকোর্টের জামিনের পর নিম্ন আদালতে জামিন বাতিল হওয়ায়, এক বিবৃতিতে সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিপিবির নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কমরেড মিহির ঘোষসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন।

বিবৃতিতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড মিহির ঘোষের মতো জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতার ব্যাপারে এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের সর্বস্তরের জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে বিচার বিভাগের দলীয়করণে দেশের জনগণের আইনি অধিকার আজ হুমকির মুখে পড়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের জামিনের পরও নিম্নআদালতে জামিন না হওয়া উদ্বেগজনক।

বিবৃতিতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কমরেড মিহির ঘোষ দেশের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, বাম-প্রগতিশীল আন্দোলনের একজন পরীক্ষিত নেতা এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ। গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা কমরেড মিহির ঘোষ গাইবান্ধার প্রতিটি ন্যায্য গণসংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় স্থানীয় নেতা কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের প্রমাণ করে যে, শাসক দল কতটা অগণতান্ত্রিক ও নিপীড়ক চরিত্র ধারণ করেছে। গাইবান্ধাসহ গোটা উত্তরবঙ্গে দুর্নীতি, লুটপাট ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সিপিবির ধারাবাহিক আন্দোলনে ভীত হয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় স্থানীয় নেতা এবং একটি সাম্প্রদায়িক, কায়েমী স্বার্থবাদী মহল বিগত ইউপি নির্বাচনকে ইস্যু করে সিপিবি নেতা কমরেড মিহির ঘোষসহ সিপিবির ৬ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। জেলে ভরে, নির্যাতন করে সিপিবির নেতা-কর্মীদের জনগণের আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের জবাব দেয়া হবে।

সিপিবির নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে কমরেড মিহির ঘোষসহ ৬ জন নেতার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন এবং মামলাবাজ চক্রের অপরাধের যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষ, গিদারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী কমরেড ছাদেকুল ইসালম মাস্টারসহ সিপিবির ৬ নেতার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতাসীন দলের গাইবান্ধার কতিপয় স্থানীয় নেতা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। গত ৯ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রংপুর ডিজিটাল ট্রাইবুন্যাল আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করার নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ১৯ জানুয়ারি কমরেড মিহির ঘোষসহ নেতৃবৃন্দ আদালতে হাজির হলে, আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদেরকে জেলে পাঠান।