বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক কমরেড ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ৪ নভেম্বর ২০২১ সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ বাড়বে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহনে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়বে। এলপিজির দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন ও গৃহস্থালীতে, হোটেল রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত সাধারণ জনগণ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, পেয়াঁজসহ দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করায় এবং এলপিজি’র দাম বাড়ানোয় এটা মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে জনগণের জীবন যাত্রাকে বিপন্ন করে তুলবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মূল্য সমন্বয়ের নামে ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজি’র দাম বাড়ানোর কথা বলছে সরকার অথচ যখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমে তখন মূল্য সমন্বয় করে দাম কমানো হয় না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজি’র বর্ধিত মূল্য প্রত্যহার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জোর দাবি জানান।