সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি, পূজা মন্ডপ-মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে দেখা ও ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলার জন্য আজ ১৭ অক্টোবর সকালে ঢাকা থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোট এর সমন্বয়ক, বাসদ নেতা কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ এর নেতৃত্বে সিপিবি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কমরেড আব্দুল্লাহ আল কাফী রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা কমরেড মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়াসহ ৬ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় টিম চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ আব্দুর রাজ্জাক, আলমগীর হোসেন দুলাল, শাহজাহান তালুকদার, হারাধন চক্রবর্তী, অর্জুন দাস, পরেশ কর, নাসিরুল ইসলাম মজুমদার, ফারজানা আক্তার, আবু তাহের বাবুল, খায়ের ইমতিয়াজ দাউদ, মালেক মনছুর, জসীমউদ্দিন, বিটুল তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে বাম জোট নেতৃবৃন্দ মন্দিরের পুরোহিত, সেবায়ত, পূজারিসহ স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলেন। স্থানীয় পূজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বাম জোট নেতৃবৃন্দকে জানান হামলার আশংকা করে স্থানীয় প্রশাসনকে পূর্বেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন কিন্তু তাদের কোন তৎপরতা ছিল না। এমনকি পূজা মন্ডপে হামলা চলাকালীন সময়ে বার বার সহায়তা চাওয়া হলেও মন্দির লুটপাট ও ভাংচুর- হামলার ২/৩ ঘণ্টা পর পুলিশ আসে। এ থেকে পরিস্কার হয় যে প্রশাসন এ ধরনের ঘৃণ্য হামলার আশংকার কথা জেনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় পূর্ব থেকে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। হামলার ভয়াবহতা দেখে এটা সুস্পষ্ট যে, এ হামলা, মন্দির ভাংচুর ও লুটপাটের দায় সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও বাড়িঘর মেরামত, আহতদের চিকিৎসা, লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ এবং হামলায় যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সাথে ধর্মীয় আবেগকে পূঁজি করে গুজব ও উন্মাদনা ছড়িয়ে যে কোন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য গণতন্ত্রমনা প্রতিটি মানুষের প্রতিও আহ্বান জানান।