বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, অবিভক্ত ঢাকা জেলা কমিটির সাবেক সম্পাদক, ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য লাল ঝান্ডা নিয়ে বিপ্লবী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তুলতে ও বিকশিত করতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ৭২ বছরের জীবনে তিনি প্রায় ৩৫ বছর জেল অথবা আত্মগোপনে কাটিয়েছেন। তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী বিপ্লবী আন্দোলনের পথপদর্শক।
আজ ১৯ আগস্ট সকালে পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তীর স্মৃতিফলকের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সিপিবির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশের আগে সিপিবি ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তীর স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। সিপিবির ঢাকা কমিটির সদস্য ও সূত্রাপুর থানা কমিটির সভাপতি আবু তাহের বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, সূত্রাপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা, সিপিবি নেতা সাইফুল ইসলাম সমীর, গোলাম রাব্বি খান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ও সাদেকুর রহমান শামীমসহ সিপিবি ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ দেশের প্রতিটি লড়াই-সংগ্রামে কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তী অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কৃষক আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রগতি লেখক সংঘ ও ছাত্র ইউনিয়ন গড়ে তুলতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর বিপ্লবী জীবন বিপ্লবী মতাদর্শ গ্রহণে অসংখ্য তরুণকে আকৃষ্ট করেছে। বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য অসংখ্য বিপ্লবী নেতা-কর্মী গড়ে তোলার কাজেও তিনি ভূমিকা পালন করেছেন। কমরেড জ্ঞান চক্রবর্তীর মতো মহান বিপ্লবীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের প্রতিদিনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড অগ্রসর করতে হবে।