ভারতের বিজেপি সরকারের প্রস্তাবিত বিতর্কিত ও আপত্তিকর ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল’ ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ এক বিবৃতি প্রদান করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মোবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীকে এ বিধানের আওতার বাইরে রাখা এ বিলটি সাম্প্রদায়িকতা দোষে দুষ্ট। এতে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতন-বৈষম্যের ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে।
নেতৃবৃন্দ এ বিলকে দ্বিজাতি তত্ত্বের হিন্দুত্ববাদী সংস্করণ আখ্যায়িত করে বলেন, এই বিলের ফলে ভারত একটা হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটি ভারতের সংবিধানে বর্ণিত জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতের জনগণের সমঅধিকার বিলোপ করবে। ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত বিশাল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন নাগরিকে পরিণত করবে। মুসলিম সম্প্রদায়ের জনগণকে গুরুতর নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের এই নাগরিকত্ব বিল কার্যকর হলে এর প্রতিক্রিয়ায় এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক বিভেদ, বিভাজন, সহিংসতা, হানাহানি বৃদ্ধি পাবে এবং সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে চরম দক্ষিণপন্থী ধর্মান্ধ ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের পথ সুগম হওয়ার মধ্যদিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগমণের পথ তৈরি হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ভারতের সরকারকে বিতর্কিত নাগরিক বিল থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। তারা বিলের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান। এ বিল সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগ ভারতের সরকারকে অনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
Login to comment..