আজ ১০ মার্চ। ১৯৭৩ সালের ১০ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েতের নেতৃত্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সিপিবি’র গোপালগঞ্জ মহকুমার তৎকালীন সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান লেবু, ন্যাপ নেতা ৭ মার্চ ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১২ (কোটালীপাড়া) আসনের প্রার্থী কমলেশ বেদজ্ঞ, ছাত্র ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ মহকুমার তৎকালীন সহ-সভাপতি বিষ্ণুপদ কর্মকার ও ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শ্যামাপদ ভট্টাচার্য মানিককে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লুৎফর রহমান গঞ্জরকে গুরুতর আহত করা হয়।
নিহত চার জনই ’৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ওয়ালিউর লেবু ও কমলেশ বেদজ্ঞ মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় হেমায়েত বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন কমলেশ বেদজ্ঞ। সে সময় কমলেশ বেদজ্ঞ হেমায়েতের লুটপাটের বিরোধীতা করেন। একটা ডায়েরিতে হেমায়েতের লুটপাটের কাহিনী লিপিবদ্ধ করে রাখেন। ৭ মার্চ নির্বাচনে কমলেশ বেদজ্ঞ আওয়ামী লীগ কাছে পরাজিত হন। ৯ মার্চ কোটালীপাড়া নির্বাচনোত্তর সমাবেশ শেষে ১০ মার্চ গোপালগঞ্জ শহরে ফেরার পথে হেমায়েত গং নেতৃবৃন্দের উপর হামলা পরিচালনা করে তাদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ৪৬ বছর পরও চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম আজ এক বিবৃতিতে লেবু-কমলেশ-বিষ্ণু-মানিকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের অবদান কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন।
নেতৃবৃন্দ চার নেতার হত্যাকারী হেমায়েতের মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত জীবিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ চার নেতার স্মরণে গোপালগঞ্জ শহরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান।
Login to comment..