Revolutionary democratic transformation towards socialism

বিভিন্ন স্থানে সিপিবি’র প্রার্থী, প্রধান নির্বাচনী এজেন্টদের ওপর হামলা, গ্রেফতার সিপিবি’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সারাদেশে সিপিবি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী, এজেন্ট, নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা, হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নওগাঁয় সিপিবি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডা. ফজলুর রহমানের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে ও দলীয় লোকজন ভোটকেন্দ্রে যেতে চাইলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। চারজন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ঢাকার মিরপুর-১৪ আসনের প্রার্থী ডা. সাজেদুল হক রুবেলের এজেন্টের ওপর হামলা ও দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোও সরকারি দলের লোকজন ভেঙে ফেলে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এছাড়াও নেত্রকোণা, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, বরিশালসহ প্রভৃতি স্থানে সিপিবি‘র প্রার্থী ও এজেন্টদের ওপর হুমকি প্রদর্শন ও নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল করে নেয়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে আগে থেকেই আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। অনেক জায়গায় গত রাতেই নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা, ভোটকেন্দ্রে না যেতে বিভিন্ন এলাকায় হুমকি দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে না যেতে হুমকি প্রদান ও যারা গিয়েছিল তাদের বের করে দেওয়া, অসংখ্য কেন্দ্র দখল করে নেওয়া, এজেন্টের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনকে হাস্যকর নির্বাচনে পরিণত করেছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন , নির্বাচনে জনগণের স্বস্তঃস্ফ‚র্ত উপস্থিতি ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায় নি। অনেক ভোটকেন্দ্রে ‘ভোটার আছে, ব্যালট নেই’- এমন ঘটনাও ঘটেছে। অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের আঙুলে কালি লাগিয়ে দেওয়ার পর ব্যালট না দিয়ে বলা হয়েছে আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি ভোটারদের ওপর পুলিশও হামলা করেছে। অনেক জায়গায় ভোটারদের প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করছে সরকারি দলের লোকজন। বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। প্রার্থীর মাকেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। অনেক জাগয়ায় ইভিএম নষ্ট বলে বিকাল ৩টার পর ভোট দিতে আসতে বলা হয় ভোটারদের। অনেক জায়গায় ইভিএম-এ ভোটারদের চাপ দিতে দিচ্ছে না। পীরগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বাইরে থেকে তালা লাগানো, কিন্তু পরে দেখা যায় ভেতরে সরকারদলীয় লোকজন নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা ও নকল ভোটার দিয়ে বুথ জ্যাম করে রাখা হয়েছিল।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..