ঢাকা উত্তর মেয়র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কাফি(কাফি রতন) ব্যক্তি জীবন:
জন্ম ১৯৬৬ সাল। পিতা আবদুল হান্নান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। মাতা নূরজাহান বেগম নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষকা। স্ত্রী তাহমিনা ইয়াসমিন নীলা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহকারী সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটি বিভাগের সিনিয়র ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দুই কন্যা ধরিত্রী ও অরোরা যথাক্রমে কলেজ ও বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
শিক্ষা জীবন:
নাখাল পাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ লাভ করেন। সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অর্থনীতিতে বিএসএস ও এমএসএস করেছেন। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোর হায়ার কমসোমোল স্কুল থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন।
পেশা জীবন:
১৯৯২ সালে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংকে যোগদান। ১৯৯৭ সালের জুন থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। জুলাই, ২০১৪ এ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রায় ২২ বছরের চাকুরীর অবসান ঘটিয়ে সার্বক্ষনিক রাজনৈতিক জীবন গ্রহন করেন।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের কৃতী ছাত্র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে শহীদ শাহাদাতের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মিছিলে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি এবং
স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কাফি রতনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সহকারী সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৯-৯০ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।
স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কর্মী হিসেবে লড়াই শুরু করে ’৯০ এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বর্তমানে দ্বিতীয় দফা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, বর্তমানে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে পার্টির নানা দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যান্য সংগঠন:
সিলেট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ওল্ড ক্যাডেটস্ অ্যাসোসিয়েশান অব সিলেট (ওকাস)-এর দুই দফা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাইয়ের জীবন সদস্য। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির জীবন সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট। ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের সদস্য।
বিদেশ সফর:
উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গমন করেন। ২০০০ সালে ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে অংশগ্রহণের জন্য ফ্রান্সে যান। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)-এর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে
নির্বাচনী গণসংযোগে মেয়র প্রার্থী কাফি রতন সিপিবি’র তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ভারতে যান।
বিশ্ব গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যোগদানের জন্য নেপাল, সাইপ্রাস, ভিয়েতনাম গমন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৭তম বিশ্ব ছাত্র-যুব উৎসবে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ২০১১ ও ২০১২ সালে অল চায়না ইয়ুথ ফেডারেশানের আমন্ত্রণে আন্তর্জঅতিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে চীন সফর করেন। ২০০০ সালে জার্মানী সফর করেন।
এছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ সালে ব্যাংকিং বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারের অংশ নিতে সিঙ্গাপুর ও মালায়েশিয়া গমন করেন। ২০০৩-০৪ সালে দুই মাস ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের হয়ে ব্যাংকিং সফ্টওয়্যারের উপর ভারতের বেঙ্গালোর ও মুম্বাইয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
অন্যান্য:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলের পক্ষে জাতীয় টেলিভশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সাপ্তাহিক একতায় নানা বিষয়ে নিয়মিত লিখেন। একাধিক বই ও পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
১৯৯১ সালে এপ্রিল মাসের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উদ্ধারকারী দলের যোগ দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করেছেন। অসংখ্য লাশ দাফন করেছেন। তিনি সবসময় বলেন তার জীবনের সবচেয়ে ভাল কাজ হচ্ছে এটি। অসংখ্যবার স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন। মরণোত্তর চক্ষু দানের অঙ্গীকার করেছেন।
প্রগতিশীল নাগরিক মোর্চা