Revolutionary democratic transformation towards socialism

কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি ও সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মানববন্ধন কর্মসূচিতে সেলিম অবিলম্বে হাওরের জলাবদ্ধতা দূর, নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও ইজারা বাতিল করে মাছ ধরার জন্য হাওর উন্মুক্ত ঘোষণা করতে হবে


সিপিবি সভাপতি এবং ক্ষেতমজুর সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, হাওরবাসী আজ মহাদুর্যোগের মধ্যে আছে। গত বছর হাওরে বন্যায় ফসল তলানোর পর এখন পর্যন্ত অনেক হাওর থেকে পানি নামেনি। তিনি বলেন, নদীতে নিয়মিত ড্রেজিং না করায় নদী ও হাওরের উচ্চতা সমান হয়ে যাওয়ায় এই জলাবদ্ধতা। এর ফলে হাওরের কৃষকরা জমিতে ফসল লাগাতে পারছে না। অন্যদিকে ইজারাদারদের অত্যাচারের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ অবাধে হাওরে মাছ ধরতে পারছে না। আজ কৃষক-ক্ষেতমজুর সমাবেশে তিনি আরও বলেন, গতবারের ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকার হাওরবাসীর প্রতি খামখেয়ালিসুলভ আচরণ করেই যাচ্ছে। হাওর সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করে তিনি বলেন, হাওরের জন্য যে সামান্য বরাদ্দ হয় তাও সরকার দলের লুটপাটকারীদের পকেটে চলে যায়। তিনি হাওরবাসীর জীবনের নিশ্চয়তার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসন, নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন, ইজারা বাতিল মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা, শীতার্ত অসহায় হাওরবাসীর জন্য শীতবস্ত্র প্রদানের দাবিতে আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি ও সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অ্যাড, সোহেল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক

বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের নিখিল দাস, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ, গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কৃষক সমিতির নেতা শরিফুজ্জামান শরিফ, লাকী আক্তার। সমাবেশ পরিচালনা করেন সুকান্ত শফি কমল। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধান ও মাছ ২ কোটি হাওরবাসীর বেঁচে থাকার অবলম্বন হলেও বন্যায় ধান নষ্ট ও বর্তমানে হাওরবাসী মাছ ধরতে না পারায় খুব কষ্টে তাঁরা দিনাতিপাত করছে। খালিয়াজুড়ির ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা রাখাল সরকারসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ইজারাদার কর্তৃক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা ও নিকলীতে ৬জন জেলেকে গুলিবিদ্ধ করার নিন্দা করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ইজারাদারদের বিচার দাবি করেন। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বাঁধ নির্মাণের শুরুর কথা থাকলেও এখনও সে কাজ শুরু হয়নি এবং নদী খননের কাজ চলছে ধীরগতিতে। এরই মধ্যে প্রচ- শীতে হাওরবাসী অসহায় হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ অসহায় হাওরবাসীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানান। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গতবারের ফসল তলানোর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এবার যাতে আর হাওরবাসীকে আর কষ্ট করতে না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..