
বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আহূত আগামী ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতালের (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা) সমর্থনে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত প্রচারাভিযানে বামপন্থি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার পর জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সরকার লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করছে। সরকারের ভুল ও গণবিরোধী নীতি ও পদক্ষেপের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। না হলে বিপদ আরও বাড়বে। বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে সর্বাত্মক লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
হরতালের সমর্থনে আয়োজিত প্রচারাভিযানে আজ ২৮ নভেম্বর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক কমরেড সাইফুল হক ও বাসদ-এর ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব জুলফিকার আলী। প্রচারাভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক মনির উদ্দিন পাপ্পু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের

আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবি’র সহকারি সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের ভুলনীতি, দুর্নীতি, অপচয়, লুটপাট, ব্যাক্তিমালিকানাধীন বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার জন্য দফায় দফায় বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এমনিতেই চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ফলে তরল জ্বালানি দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। সরকার কথায় কথায় বলে, আমরা দাম বাড়াই না, মুল্য সমন্বয় করি মাত্র। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারের তেলের দামের সাথে সমন্বয় করতে দেখা গেল না। অথচ জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমার সাথে সমন্বয় করলে বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব।
সরকারের গণবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ৩০ নভেম্বরের হরতাল সফল করতে রাজপথে নেমে আসার জন্য নেতৃবৃন্দ জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে হরতালের সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রচারাভিযান শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, মৌচাক, মালিবাগ রেলগেইটে সমাপ্ত হয়।
এদিকে আজ সকালে হরতালের সমর্থনে রমনা পার্ক, সংসদ ভবনের চন্দ্রিমা উদ্যান ও কাকরাইলের এজিবি অফিসের সামনে এবং বিকালে মিরপুর ১০নং গোল চত্বর থেকে পল্লবী ও মোহাম্মদপুর এলাকায় হরতালের পক্ষে প্রচার চলানো হয়।