Revolutionary democratic transformation towards socialism

বামপন্থিদের সমাবেশে দলীয়কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি নেতৃবৃন্দের আহ্বান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলাকারী স্বার্থান্বেষী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলুন


রংপুর সদর উপজেলার পাগলা পীরের ঠাকুররপাড়ায় ধর্ম অবমাননার মিথ্যা দোষারোপ করে পরিকল্পিতভাবে হিন্দুপল্লীতে আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য দেন। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহীন রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাসদ’র কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। মিছিল শেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র অন্যতম সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রামু, নাসির নগর, গোবিন্দগঞ্জ, লংদুর’র পর রংপুরের পাগলা পীরে আক্রমণ চালানো হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর। জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু কেউই হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। পাহাড়-সমতলের আদিবাসীরা যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন তেমনি আক্রান্ত হচ্ছেন বাঙালি হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানরা। বক্তারা বলেন, এসকল হামলা ঘটছে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ মদদে। মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তির পিছনে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে দিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাইক ব্যবহার করে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে পরিকল্পিত হামলা পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সকল হামলার ক্ষেত্রে সিভিল ও পুলিশ উভয় প্রশাসন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে ঘটনা ঘটার সুযোগ করে দিচ্ছে। এটি আমরা রামুতে, নাসিরনগরে প্রত্যক্ষ করেছি। গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই আদিবাসীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। বক্তারা আরো বলেন, এসকল হামলার পিছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করে ভীতি প্রদর্শন করে তাদেরকে তাদের ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছেদ করে ভূমি দখল করাই প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয় থাকে সন্ত্রাসীদের। অপরদিকে সংখ্যালঘু মানুষের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিজের ‘ভোট ব্যাংক’ এ পরিণত করতে এ পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে। বক্তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন করে বলেন দেশের বাম-কমিউনিস্টরা আপনাদের পাশে আছে। যে কোন পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে থেকে আক্রমণকারী শক্তিকে প্রতিহত করবে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার কর্মীরা। বক্তারা সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার কর্মীসহ দেশবাসীর কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণকারী স্বার্থান্বেষী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে ‘কার্যকরী প্রতিরোধ’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা ও পল্টনের সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..