Revolutionary democratic transformation towards socialism

‘দাম না কমানো পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা’


গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থীদের জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও টিয়ারসেল-রাবার বুলেট-জলকামান-রায়টকার নিয়ে পুলিশী হামলাঃ কর্মীদের প্রতিরোধ কাল ১৬ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ, ১৫ এপ্রিল গণঅবস্থান গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ও গণতান্ত্রিক বামমোর্চা যুগপৎ আজ ১৫ মার্চ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও জালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে। সমাবেশ শেষে জ্বালানী মন্ত্রণালয় অভিমুখে শান্তিপূর্ণ মিছিল অগ্রসর হলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পানি-টিয়ারশেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এমনকি রায়টকার আন্দোলনরতদের উপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার, সুমাইয়া শারমিন সেতু, ফারজানা আখতার, তুলেশ রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা মুক্তা বাড়ৈ, তৈয়ব আলী, রাতুলসহ ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এরপর বামপন্থী নেতাকর্মীরা আবার সমবেত হয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। ঐ সমাবেশ থেকে হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ১৬ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, বিকেল ৪টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ এর কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি-বাসদ এর ঘেরাওপূর্ব সমাবেশে বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ

আবু জাফর আহমেদ, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি নেতা ডাঃ সাজেদুল হক রুবেল। সমাবেশ পরিচালনা করেন, সিপিবি নেতা আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে গ্যাস এর দাম কমানোর আহবান জানিয়ে বলা হয় দাম না কমানো পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সভায় আগামী ১৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা ও জ্বালানী খাতে নৈরাজ্য প্রতিরোধে দেশব্যাপী গণ-সংযোগ, বিক্ষোভ এবং ১৫ এপ্রিল ঢাকায় গণঅবস্থানের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ঘেরাওপূর্ব সমাবেশে কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, লুটপাটের জন্য সরকার অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। এলপিজি এবং এলএনজি কোম্পানির মালিকদের স্বার্থে গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধি। ২৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের মধ্য দিয়ে জনগণ সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে তারা এই দাম বৃদ্ধি বরদাশত করবে না। কিন্তু সরকার জনগণের আকাংখার তোয়াক্কা না করে অগণতান্ত্রিকভাবে তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনের এই সরকারকে জনগণ বাধ্য করবে গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করতে। সিপিবি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের লুটেরা ধনীকগোষ্ঠীদের সুবিধা করে দিতেই শেখ হাসিনা সরকার দফায় দফা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে। গ্যাস উন্নয়নের তহবিল গঠনের নামে জনগণের পকেট কেটে লুটপাটের তহবিল গড়ছে সরকার। লড়াইয়ের মাধ্যমে জনগণ সরকারের লুটপাট প্রতিহত করবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..