Revolutionary democratic transformation towards socialism

আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে সিপিবি’র দেশব্যাপী দাবিপক্ষ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উদ্যোগে আগামীকাল ২৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী দাবিপক্ষ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এসময়কালে হাটসভা, পথসভা, বিক্ষোভ-মিছিল ইত্যাদি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবিপক্ষ পালিত হবে। জোট-মহাজোটের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ঘুষ-দুর্নীতি-সন্ত্রাস-অনাচার-লুটপাট-দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখে দাঁড়ানো; সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু, টাকার খেলা-পেশিশক্তির দাপট-প্রশাসনিক কারসাজি-সাম্প্রদায়িক ধুম্রজাল বন্ধ করে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার; ফসলের ন্যায্য দাম, গ্রাম-শহরে গরিব মানুষের রেশন, শ্রমিকদের জাতীয় নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা প্রদান; আদিবাসী-বস্তিবাসী-ভূমিহীন-ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ বন্ধ করা; রামপাল-ওরিয়নসহ সুন্দরবন ধ্বংসকারী সকল প্রকল্প বাতিল করা; পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ; সাম্রাজ্যবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-লুটপাটতন্ত্র-গণতন্ত্রহীনতা রুখে দাঁড়ানো ইত্যাদি দাবি দাবিপক্ষের কর্মসূচিতে তুলে ধরা হবে। দাবিপক্ষের কর্মসূচিতে স্থানীয় নানা দাবিও তুলে ধরা হবে। সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে দাবিপক্ষের কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ এখন মহাসংকটে। গরিব-মেহনতি মানুষের ওপর সর্বত্র হামলা-নির্যাতন চলছে। দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার গায়ের জোরে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে, সাম্প্রদায়িক নানা নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের গলা টিপে ধরা হয়েছে। ন্যায়সঙ্গত দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর নানাভাবে হামলা হচ্ছে। এই অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চলমান সংকট কাটাতে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। আদর্শবাদী রাজনীতির ঝাণ্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে। দ্বি-দলীয় মেরুকরণের বাইরে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..