বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভা আজ দুপুর ৩টায় বামজোটের সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) -এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সিপিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সভায় আজ দুপুর ১২টায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভার পর্যালোচনা ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ প্রসঙ্গে রিটে সিপিবি ও বাসদ এর নাম থাকা ষড়যন্ত্রমূলক ও এর মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ধরনের প্রচেষ্টা নিন্দনীয় এবং বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা, বৈষম্যবিরোধী আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্র, সংবিধান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যমতের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মূল্যবৃদ্ধি অসহনীয় পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। আওয়ামী লীগ আমলের মতোই শুল্ক হ্রাস করেও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না। অর্থাৎ মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আগের মতোই শক্তিশালী। নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাকি সব কাজ করতে হবে। এই অভ্যুত্থানে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ শাসনে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। সেই শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা অভ্যুত্থানের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত। দরিদ্র-নিম্নবিত্ত জনসাধারণের জন্য দ্রুত রেশনের ব্যবস্থা করা দরকার ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে নৈতিক আপত্তি নেই, কিন্তু কি প্রক্রিয়ায় হবে সেটা সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঠিক হওয়া দরকার। সাংবিধানিক সংকটসহ কোনো ধরনের নতুন জটিলতা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া ঠিক হবে না যাতে অভ্যুত্থানকারী শক্তির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হতে পারে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরেরা সুযোগ নিতে পারে। রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে যতটুকু নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কার সম্ভব তা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে পুলিশ বাহিনীকে এখনও সক্রিয় করা যায়নি। ফলে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত অপরাধ বাড়ছে। এগুলো সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। পুলিশকে সক্রিয় করে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো দরকার।