সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আজ ১৫ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রচার ও প্রতিরোধ পক্ষ’ কর্মসূচি শুরু করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। সারাদেশে গ্রামাঞ্চলে কমপক্ষে ১ হাজার হাটসভা, শহরাঞ্চলে পথসভা, সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
আজ ১৫ নভেম্বর নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর হাটে হাটসভায় সিপিবি’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখি হাটেও বক্তব্য রাখেন। এসব হাটসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবি নেতা আজিমউদ্দিন মস্তু, হাফিজুল ইসলাম, তফাজ্জল হোসেন শান্তি, ফজলুল হক, মাসুদ বাচ্চু, লোকনাথ বর্মন প্রমুখ।
কমরেড সেলিম বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখন দেশের সামনে বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করতে হবে। গ্রামে গ্রামে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়ে তুলতে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত গ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
কমরেড সেলিম প্রত্যেক গ্রামে সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সিপিবি’র সভাপতি আরো বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে বিকৃত করে তার অপব্যবহার করা হচ্ছে। ধর্ম আর সাম্প্রদায়িকতা এক নয়। সাম্প্রদায়িকতা মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। সাম্প্রদায়িক শক্তি ইংরেজ, পাকিস্তানি শাসকদের দালালি করেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
কমরেড সেলিম আরো বলেন, সরকারি দলের লোকজন লুটপাটের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলায় অংশ নিচ্ছে। আর বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে জোটসঙ্গী করে রেখেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। গোবিন্দগঞ্জে হামলা হয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু আদিবাসীদের ওপর। এসব হামলার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।
কমরেড সেলিম ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রচার ও প্রতিরোধ পক্ষ’ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
Login to comment..