বাম
গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ
সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র সভাপতি কমরেড শাহ আলম, সাধারণ
সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ
সম্পাদক কমরেড মোশরেফা শিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড
ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা ও
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আব্দুল আলী আজ ৭
জুলাই ২০২৪ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান
আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন,
পেনশন একজন চাকুরীজীবীর অর্জন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার কর্মজীবনের
প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতির বিষয়। অবসরকালিন জীবনের নিরাপত্তা হিসেবে পেনশনকে
বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের
ক্ষেত্রে প্রত্যয় নামে যে পেনশন স্কিম চালু করেছে তা একদিকে বৈষম্যমূলক
অন্যদিকে শিক্ষকদের জন্য অসম্মানজনক। শিক্ষকদের মতামত না নিয়ে
আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই স্কিম চাপিয়ে দেয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে যে
অসন্তোষ ও বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা নিরসনের জন্য অবিলম্বে প্রত্যয় স্কিম
বাতিল এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য
নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ চাকুরির কোটা
নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরবের এবং শ্রদ্ধার বিষয়। এর সাথে চাকুরির কোটা
সংরক্ষণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো অপমানজনক। দেশের অনগ্রসর, পিছিয়ে থাকা
জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আর
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে কোটা মানবিক দায়িত্বের অংশ। কিন্তু
বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদসমূহে নিয়োগ না দেয়া এবং নতুন কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্র যুব সমাজের মধ্যে যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে
সেক্ষেত্রে কোটার নামে চাকুরিতে পদ সংরক্ষণ তাদের ক্ষোভকে বাড়িয়ে তুলেছে।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করে
মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা কোনভাবেই
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বৃদ্ধি করে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন,
আদালতের উপর দায় চাপানো কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রতিপক্ষ বানানো নয়,
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবেই গ্রহণ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ কোটা পদ্ধতি
সংস্কারে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান।