প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
শুভেচ্ছা জানবেন।
আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এমনকি ভোটাধিকার খর্ব করে পুনরায় ক্ষমতায় বসার প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এবারের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। সিপিবিসহ বাম প্রগতিশীলদের বহুদিনের গণদাবি হলো মুক্তিযুদ্ধের ধারার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বাজেট প্রণয়ন। কিন্তু অতীতের গণবিরোধী ধারায় বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এটিকে উপেক্ষা করে পুঁজিবাদী তথা নয়া-উদারনীতি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মোড়কে গত বছরের বাজেট উপস্থাপন করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
বরং সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফএ’র কাছ থেকে মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার শর্তের বিনিময়ে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে সরকারকে। ইতোমধ্যে এর আলামত স্বরূপ বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি করে তাদের শর্ত পূরণ করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আরও তীব্র হবে। দেশের ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট, ভয়াবহ দুর্নীতি, অর্থ সংকট- বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব নেতিবাচক তথ্য দেশে বিদেশে উদঘাটিত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ভুলুন্ঠিত হলেও- এসব থেকে পরিত্রাণ লাভের কোনো দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার দেখা যাচ্ছে না। বরং সব ঠিক আছে, ঠিক হয়ে যাবে- এমন কথা বলে সান্তনা দেওয়া হচ্ছে যে- এটা “পুজিবাদের সাময়িক গর্ভযন্ত্রণা মাত্র”। সবই বাইরের “শকের (Shock)” ফল মাত্র।
এ অবস্থায় আমরা দেখতে পাচ্ছি- মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রবৃদ্ধির গতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী। বিদেশে টাকা পাচারের প্রবণতায় খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। মানুষের বৈষম্য এক দেশে দুই অর্থনীতিকে দৃশ্যমান করে তুলেছে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক বৈষম্য, নারী-পুরুষের বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপরন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে অনেক এলাকায় বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় জানমালের ও সুপেয় পানির ঝুঁকি বাড়ছে। বৈদেশিক দেনা বাড়ছে এবং ঋণ করে ঋণ পরিশোধের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। সরকারি তথ্যই বলছে, শহরাঞ্চলে সর্বোচ্চ আয় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে একটি সূচক ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে তা হচ্ছে আয় বৈষম্য পরিমাপের সূচক। এটি যেই গিনি সহগ (দারিদ্র্য পরিমাপের একটি অর্থনৈতিক সূচক) দিয়ে মাপা হয় তা .৫০ স্তরে পৌঁছালে, তাকে বলা হয় বিপজ্জনক। যেসব মধ্য আয়ের দেশ এই মাত্রার গিনি সহগে পৌঁছায় তাদের পক্ষে আর মধ্য আয় থেকে মুক্ত হয়ে উচ্চ আয়ে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। সে জন্য একে বলা হয় মাঝারি আয়ের ফাঁদ। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হতে হতেই এখনই তা .৪৯ গিনি সহগে পৌঁছে গেছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেনের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে শহরাঞ্চলে এই সূচক হচ্ছে .৫৫ অর্থাৎ এখন শহরে বৈষম্য সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ভাষায় “কেউ থাকেন গাছতলায় আর কেউ থাকেন আকাশচুম্বি অট্টালিকায়”।
এই হাল শুধু আয়ের ক্ষেত্রে সত্য নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনগণের অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক অন্যান্য অধিকারের সকল ক্ষেত্রেই সত্য। আমরা জানি আমাদের সংবিধানে ‘অনুপার্জিত আয়’ এবং ‘শোষণকে’ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সকল ক্ষেত্রে শুধু আকাশচুম্বী বৈষম্যই সৃষ্টি হয়নি, এই বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে যুগপৎ ‘অনুপার্জিত আয়’ এবং ‘শোষণ’ প্রক্রিয়াকে ক্রমাগত তীব্র থেকে তীব্রতর করার মাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিককালে উদঘাটিত নিম্নোক্ত লুটপাটের দৃষ্টান্তগুলির প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি :
ক) আইএমএফ’র মতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মোট খেলাপি ঋণের প্রকৃত মাত্রা ছিল ৩৭৫ লাখ কোটি টাকা। এটি ব্যাংকিং খাতে প্রদত্ত ঋণের ২৫ শতাংশেরও বেশি। তবে এর মাত্রা বিশেষ বিশেষ ব্যাংকের ক্ষেত্রে এত বেশি যে সেই ব্যাংক এখন দেউলিয়ায় পরিণত হতে চলেছে। আমরা বেসিক ব্যাংকের কথা জানি যেখানে খেলাপি ঋণের মাত্রা ৬৩ শতাংশ এবং একজন ব্যক্তির কারণেই তা এত উচু ও সংকটজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। সে একাই ঋণ নিয়েছে (আত্মসাৎ করেছেন বলাই সঙ্গত) প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা। সংবাদ পত্রে এই তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে যে তিনি বা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নাকি ১১০ কোটি টাকার ভূসম্পত্তির মূল্য মাত্র ১৫ কোটি টাকা দেখিয়ে সরকারকে বিশাল ভূমি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন। এত কিছু অন্যায়-অপরাধের পরেও তার টিকিটিও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এখন পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক তার কারণে তৈরি এ ধরনের একটি প্রায় দেউলিয়া ব্যাংককে রক্ষার জন্য একটি অপেক্ষাকৃত সুস্থ ব্যাংকের সঙ্গে জুড়ে দেয়ার কথা বলেছেন। এই তথাকথিত একীভূত হওয়া (merging) যে কোনো সমাধান দিবে না তা উভয় ব্যাংকের (দুর্বল ও সবল) কর্মকর্তারাই বাংলাদেশ ব্যাংককে তা জানিয়ে দেয়ার পর এখানে একটি অস্বাভাবিক না ঘরকা, না ঘট্কা অবস্থা বিরাজ করছে।
খ) অর্থ-পাচার, বিনিয়োগের অভাব ও ঋণ নির্ভরতা ডলারের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার মূলে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বৈধ-অবৈধ পথে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী ধনীক গোষ্ঠী কর্তৃক বাইরে তা পাচার করে দেওয়া। স্বয়ং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি কানাডায় এধরনের পাচারকৃত সম্পদের মালিকদের মধ্যে ১৫ জনের কথা জানেন, যাদের মধ্যে গুরুত্বের ক্রমানুযায়ী রয়েছে- অসৎ আমলা, অসৎ ব্যবসায়ী এবং অসৎ রাজনীতিবিদ। কিন্তু এই শ্রেণি তিনটি শুধু লুটেরা পুঁজির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ত্রিভুজ শাসক শ্রেণির তিনটি বাহু নয়, তারা একইসঙ্গে আমাদের বর্তমান অর্থনীতির বৈদেশিক খাতে বিভিন্ন ধরনের সংকটের স্রষ্টা। তারাই আমদানি-রপ্তানির আন্ডার ইনভয়েস, ওভার ইনভয়েস করেন, তারাই হুন্ডির মাধ্যমে খোলা বাজার থেকে ডলার কিনে তা বাইরে পাঠিয়ে দেন, তারাই দুবাইয়ে বা মালয়েশিয়ায় বা বাইরের অন্যান্য দেশে নানা স্থাবর সম্পত্তি তৈরি করেন, তারাই দ্বৈত নাগরিকত্বের সূত্রে জাতীয় সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করে অন্য জাতির অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করেন। এমন অবস্থায় প্রয়োজনীয় উৎপাদনশীল বিদেশি প্রযুক্তিভিত্তিক বিনিয়োগের অভাবে সরকারের তথাকথিত বৈদেশিক বিনিয়োগগুলি শুধু বৃহৎ অবকাঠামো তৈরি করে চলেছে। কিন্তু ইপিজেড বা এসইজেড গুলি পুঁজির অভাবে পিপাসার্তভাবে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে। আর দেশি বিনিয়োগও সেখানে এখোনো আসছে না। সকল রকম সংস্থাই জানাচ্ছে যে বাংলাদেশে আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতির কারণে এখন ভিয়েতনামের চেয়ে বাণিজ্য ব্যয় (cost of business) অনেক বেশি হওয়ায় বিদেশি উৎপাদনশীল বিনিয়োগও সেখানে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় অন্যত্র ধাবিত হচ্ছে। এ-কথা সত্য যে আমরা বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে এডিবি, রাশিয়া, ভারত, জাপান ও চীন থেকে কিছু বৃহৎ ঋণ বা বিনিয়োগ পেয়েছি বা এখনো পাওয়ার আশা করছি। কিন্তু সেগুলিরও সঠিক সদ্ব্যবহার আমরা করতে ব্যর্থ হয়েছি। চট্টগ্রাম টানেল প্রকল্প ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের দুর্নীতি ও অপচয়ের দৃষ্টান্তের কথা সকলেরই জানা আছে।
অন্যদিকে দেশি সকল উৎপাদনশীল বিনিয়োগকারীরা বা এস.এম.ই-র মালিকরা বর্তমানে প্রয়োজনীয় আমদানির অভাবে নিজেদের শিল্পগুলিতে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি জোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ঋণের সুদের হার ও ডলারের বিনিময় হার যথাসময়ে যথাযথভাবে না বাড়িয়ে বর্তমানে এক লাফে আই.এম.এফ’র চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ইলেকট্রিক শকের মতো এক লাফে এতটাই বাড়ানো হয়েছে যে এর ফলে অর্থনীতি সংকোচনশীল প্রবৃদ্ধির ফাঁদে পড়েছে। আর এর ফলে বিশেষ অসুবিধায় পতিত হয়েছে অ-লুটেরা-উৎপাদনশীল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তরা। এতে দেশে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমবে, বেকারত্ব বাড়বে এবং দ্রব্যমূল্যও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন বাজেটে সরকারের দায় পরিশোধের মাত্রা অনেক বেশি হবে এবং সেই টাকা ধার নেয়ার পর ব্যাংক থেকে ঋণ এত বেশি নিতে হবে যে ব্যক্তিখাতের জন্য লভ্য টাকা খুবই কমে যাবে। ফলে সামগ্রীক বিনিয়োগ সংকট (পাবলিক+প্রাইভেট বিনিয়োগ) অবশ্যম্ভাবীভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
গ) মূল্যস্ফীতি : প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাবে বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদক দাম ও ভোক্তাদামের মধ্যে পার্থক্য বেড়েই চলছে। এবার কৃষি উপকরণের বাজারেও ঠিকমত ভর্তুকি বরাদ্দ ও বণ্টন না হলে গরিব ও বর্গা-চাষী ঠিকমত উৎপাদনও নাও করতে পারে। তখন কৃষি পণ্যের উৎপাদনের সংকট সৃষ্টি হলে, খাদ্য নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে। বিশেষ করে নীচের ৪০ শতাংশ প্রান্তিক চাষী ও ভূমিহীন চাষীর জন্য এই সংকট তীব্রতর হবে বলেই মনে হয়। শহরের মধ্যবিত্তরাও বর্তমানে শহরে বাজারের সিন্ডিকেটের হাতে বিশেষ বিশেষ পণ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ সময়ে (যেমন- ডিম সংকট, ভোজ্য তেল সংকট ইত্যাদি) জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তাই বর্তমানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রমজীবীরাও সামাজিক সুরক্ষা ও রেশনের দাবিটি সামনে এনেছেন। সুতরাং এবারের বাজেটে শুধু লুটেরাদের কাছ থেকে বর্ধিত আয় উদ্ধার করার চ্যালেঞ্জটাই প্রধান নয়, উপরন্তু সেই সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করতে হবে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সংস্কৃতিসহ সামাজিক সুরক্ষা খাতে অত্যন্ত কার্যকর ও দুর্নীতিহীনভাবে।
বস্তুত বহু বকেয়া সংস্কার না করা, লুটেরাদের কাছে ক্রমাগত আত্মসমর্পণ, বিদেশি তাৎক্ষণিক নির্দেশের কাছে আটকে পড়া, আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচণ্ড দুর্নীতি ও অদক্ষতা, কোভিড পরবর্তী বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা, জলবায়ু সংকট ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে বর্তমান সংকটের মুখে সরকারের ত্রিশংকু অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখনই জরুরিভাবে প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিতে পারলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
উপরে উল্লেখিত জরুরি জাতীয় করণীয়গুলি সম্পাদন করার জন্য তথা ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য নতুন বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি সমাবেশ ও রাষ্ট্রক্ষমতার প্রয়োজন হবে। এইসব জরুরি সংস্কার কতটুকু আগামী বাজেটে নেওয়া হলো- অন্তত ঘোষণা হিসাবে হলেও নেওয়া হলো এবং তার কতটুকু বাস্তবায়নের ক্ষমতা বাজেট বাস্তবায়ন এজেন্সিগুলির আছে, তা ৬ জুন বাজেট ঘোষণার পর নিশ্চয়ই ধীরে ধীরে সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমাদের এই সাংবাদিক সম্মেলনের লক্ষ্য এটা নয় যে বর্তমান বাজেটেই আমরা এগুলি পাওয়ার প্রত্যাশা করি। বাজেটের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদিত হয়ে গেছে। ঐ অনুমোদিত দলিলটিই বাজেট ঘোষণায় প্রকাশিত হবে মাত্র। তখন তাকে ঘিরে ধনীরা চাইবে সংশোধন করে আরো দক্ষিণপন্থী একটি বাজেট তৈরি করতে এবং শোষিত বিত্তহীন-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরা চাইবেন যাতে বিপদ আরো না বাড়ে, আর তাদের ঘোষিত অধিকার ও সুযোগগুলি থেকে যাতে সরকার পিছু হটতে না পারেন। এছাড়া বিদেশিরা (চীন, ভারত, আমেরিকা ও জাপান) নতুন ভূ-রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসাবে এখানে নিজ নিজ স্বার্থে বাজেটকে ঘিরে যে লবি অব্যাহত রাখবেন তা যেন সরকারকে আত্মসমর্পণের দিকে নিয়ে না যায়। তাই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে আমরা জনগণকে জাতীয় ও শ্রেণি স্বার্থ সচেতন হয়ে আগামী দিনে শ্রেণি ও জাতীয় ন্যায্য অধিকারগুলি আদায়ের জন্য এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাচ্ছি।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের বক্তব্য শোনার জন্য আপনাদের আরেকবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
কেন্দ্রীয় কমিটি