Revolutionary democratic transformation towards socialism

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সিপিবি’র সমাবেশ জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে হবে


ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও মানুষজনের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজ ২ নভেম্বর বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সিপিবি আয়োজিত এক বিক্ষোভ-সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কমরেড জাফর এ কথা বলেন। সমাবেশে কমরেড জাফর ছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষ ও কমরেড শাহীন রহমান। সমাবেশে কমরেড জাফর আরো বলেন, মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আবার নতুন করে বিষাক্ত ফনা তুলেছে। বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা তারই আলামত। কিন্তু সরকার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবেলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানীয় প্রশাসন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে হামলা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সমাবেশে কমরেড জাফর অবিলম্বে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কমরেড জাফর আগামী

৮ নভেম্বর দেশব্যাপী সিপিবি-বাসদ আহূত ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়। আক্রান্ত মানুষের পাশে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আজ ২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটনাস্থলে যায়। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আক্রান্ত মন্দির ও স্থানগুলো পরিদর্শন করেন এবং আক্রান্ত মানুষ ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেলে নাসিরনগর শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে এক স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উদীচী, নাসিরনগর শাখার সভাপতি মহেন্দ্র চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাকসু’র সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মো. ফিরোজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুনীরা বেগম অনু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, আসমা বেগমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..