বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) একাদশ কংগ্রেসের আজ চতুর্থ দিনের কার্যক্রম চলছে। আজ সকালে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক আলোচ্যসূচী সমাপ্ত হয়। সকালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও হবিগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ। এবারের কংগ্রেসে গঠনতন্ত্রের কিছু ছোট সংশোধনী গৃহীত হয়েছে। দলের ইংরেজী নাম গঠনতন্ত্রে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
এছাড়া পার্টির প্রেসিডিয়াম হওয়ার ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক হওয়ার যে বাধ্যবাধকতা তা শিথিল করার প্রস্তাব কংগ্রেস গ্রহণ করেনি।
আজ কংগ্রেসের ষষ্ঠ অধিবেশনে ক্রেডেন্সিয়াল কমিটি, অডিট কমিটি, কন্ট্রোল কমিশন রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন করা হয়েছে। কন্ট্রোল কমিশন রিপোর্ট উত্থাপন করেন পার্টির কন্ট্রোল কমিশন সদস্য কমরেড লীনা চক্রবর্তী। অডিট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন কমিটির আহ্বায়ক শেখ বাহাদুর মজুমদার। ক্রেডেন্সিয়াল কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন করেন ক্রেডেন্সিয়াল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম।
এছাড়া দুপুরে খাবার বিরতির পর পার্টির কন্ট্রোল কমিশন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব উত্থাপন নতুন প্রস্তাব আহ্বান ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আজ কংগ্রেসের শেষ অধিবেশনে পরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী ভাষণ ও আন্তর্জাতিক সংগীতের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস সমাপ্ত হবে।
ক্রেডেন্সিয়াল কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায়, একাদশ কংগ্রেসে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে ৯ জনের জেল জীবন ৫ থেকে ১১ বছরের ঊর্ধ্বে। ৮৫ জনের জেল জীবন ১ বছরের কম সময় থেকে ২ বছরের মধ্যে। পার্টি জীবনে ৩ থেকে ১০ বার আত্মগোপন করেছেন ৩৭ জন। ৯১ জন প্রতিনিধি ১ থেকে ২ বার আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। প্রতিনিধিদের ৯.৯০ শতাংশ সার্বক্ষণিক পার্টি ক্যাডার।
Login to comment..